মাত্র দু’দিন হয়েছে কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশজুড়ে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাকিস্তান থেমে থাকেনি । তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেছে । তারা ভারতের সাথে সমস্ত রকম দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করার পথে হাঁটতে চলেছে । পাকিস্তান এছাড়া আজ এই ঘোষণা করেছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী ট্রেন সমঝোতা এক্সপ্রেস কে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ।
এমত অবস্থায় জঙ্গিরাও যে চুপচাপ বসে থাকবে না সে কথা এক প্রকার নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যায় । এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে সতর্কতা জারি করা হলো । কেন্দ্র থেকে ভারতের সাতটি রাজ্যে জইশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গিরা পুলওয়ামা ধাঁচে যে কোনো সময় বড় আক্রমণ করতে পারে বলে জানিয়েছে তারা । যার ফলে মোটামুটি উত্তপ্ত একটা আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে ।
কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সীমান্ত এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে । দেশের মধ্যেও বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্য বেশ কয়েকটি সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, মোট সাতটি রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে । অন্যান্য রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর ধারণা, জইশ-ঈ-মহম্মদ ধারাবাহিকভাবে হামলা চালাতে পারে । তালিকার মধ্যে কাশ্মীর উপতাকা বাদ নেই । এই সাতটি রাজ্য হল দিল্লি, রাজস্থা্ পাঞ্জাব, গুজরা্ মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্ধপ্রদেশ । হামলার জন্য মদত দিচ্ছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই । গোয়েন্দা সংস্থা আশা করছে, আগামী 15 ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস-এ এই হামলা হতে পারে একসাথে অনেক জায়গায় । এছাড়া স্বাধীনতা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তির আসার কথা । তাদের উপর হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা । গোয়েন্দা সংস্থা থেমে নেই । তারা বহিরাগত যেকোনো ব্যক্তির উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ।