অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী বগুড়া-৭ এর সাবেক এম.পি.। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। এ পরাজয়ের পর ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার খোলেন নিজ সাবেক এই সংসদ সদস্য। স্টিকার দেখেই তার গাড়ি আটকে দেনে চাকরির জন্য ঘুষ দেওয়া এক চাকরী প্রার্থীর বাবা।
গাবতলী-শাহজাহানপুর নিয়ে গঠিত বগুড়া-৭ সংসদীয় এলাকা। গত নির্বাচনের পর সংসদ সদস্য থাকা কালীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী চাকরীর জন্য ঘুষ দেন পেস্তা মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। ছেলের চাকরির জন্য জমি বেঁচে ঘুষ দেন। সেই ঘুষের টাকা আদায়ের জন্য গাড়ি আটকে দেন। তবে পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার পান এই ঘুষ খেকো সাবেক এমপি।
স্থানীয় তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাবেক সাংসদ আলতাফ আলী উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে গাড়িটি রেখে রেজিস্ট্রি অফিসে যান। ওই সময় কিছু লোক লোক তার গাড়িটি ঘিরে ধরে। আলতাফ আলী গাড়িতে ওঠার পর পেস্তা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি গাড়ির সামনে ইট নিয়ে দাঁড়ান।
পেস্তা মন্ডলের বাড়ি উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়িয়া গ্রামে। সাবেক সাংসদ আলতাফ আলীও একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, সাংসদ থাকাকালে তার ছেলেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা নেন আলতাফ আলী। জমি বিক্রি করে ওই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও তার ছেলেকে চাকরি দেননি আলতাফ। এমনকি ওই টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না সাবেক এই এমপি। টাকার জন্য বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন না। পেস্তা মণ্ডল বলেন, ‘জাতীয় সংসদ লেখা স্টিকার লাগানো দেখে বুঝতে পারি এটা এমপি আলতাফের গাড়ি। টাকা ফেরত নেওয়ার জন্যই তাকে আটকে রাখি।
স্থানীয় গাবতলী থানার সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপি আলতাফ আলীকে গাড়িসহ আটকে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তাকে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তিনি গাড়ি নিয়ে বগুড়া শহরের দিকে চলে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর পুলিশ গিয়ে সাবেক সাংসদকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।