বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: চলতি বছর ২০১৯ এর বিগত ৫ই আগস্ট তারিখে ভারত সরকার কতৃক একটি বিবৃতিতে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ দুটি’কে বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়। ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বয়ং এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। সুতরাং, সংবিধান অনুযায়ী এখন থেকে সীমান্তবর্তী জম্মু ও কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়ে যায়।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সময় থেকেই উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিধি-নিষেধ কায়েম করেছে ভারত সরকার। আর একারণে ওই দিন থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে কাশ্মির। এছাড়াও, প্রতিবাদ রুখতে গ্রেফতার করা হয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। কাশ্মীরকে পুনরায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে ভারত সরকার দাবি করলেও, সেখানে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ২৫শে সেপ্টেম্বর (বুধবার) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কাশ্মীর নিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয় লেবার পার্টি’র তরফ থেকে। লেবার পার্টি-র নেতা জেরেমি করবিন জানান, কাশ্মীরে প্রবেশ করে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তবে লেবার পার্টি-র এই পদক্ষেপ দেখে রাভিস কুমার বলেন, লেবার পার্টির এখানে জড়ানোর কোনও অর্থই হয়না। তিনি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে লেবার পার্টির পদক্ষেপকে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার, নিশ্চিতভাবেই এটা আসলে ভোটার বাড়ানোর জন্যই করা হচ্ছে।
কাশ্মীর নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান ভারত-পাকিস্তানের পারষ্পরিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে আছে বলে জানান করবিন। একারণে, ভারত ও পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে মত দেন তিনি।