বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়াই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর আশঙ্কা। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপে ভিতিগ্রস্ত গোটা বাংলাদেশ, কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় এই বিপদ তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে সাধারণ সমাজ সচেতন মানুষ সকলেই। একই সময়ে প্রতিবেশী দেশের শহর কলকাতা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফল বলে প্রমাণিত হল। তবে এই সফলতা এতো সহজে মেলেনি, তার জন্য করতে হচ্ছে নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং নানবিধ পরিকল্পনা।
ইতিপূর্বে কলকাতা কর্পোরেশন ডেঙ্গু প্রতিরোধের উদ্যোগ নিত বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পর। কিন্তু তার পূর্বেই শহরে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ায় সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা যেতনা ভয়ঙ্কর এই রোগ। একারনে বর্তমানে প্রায় সারাবছর জুড়েই শহর কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালায় কলকাতা কর্পোরেশন। যাতে শহরের কোনও স্থানে জল না জমে, সে বিষয়ে সর্বক্ষন নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালানো হয়, এমনকি প্রতিটি বাড়িতেও প্রতিনিয়ত কর্পোরেশনের লোক গিয়ে খোঁজ-খবর নেয়। এক্ষেত্রে শহরের প্রতিটি হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমে রোগীর রক্ত পরীক্ষার বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, যাতে কারও রক্তে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
এমনকি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে কলকাতায়। কর্পোরেশন থেকে সবরকম সুবিধা দেওয়া স্বত্বেও যদি কোনও বাড়ির কোথাও জল জমে থাকতে দেখা যায়, তাহলে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে সেই বাড়ির কতৃপক্ষকে। শহরের প্রতিটি এলাকার জমা জল পরিস্কারের বাবদ বিল দিতে হচ্ছে বাসিন্দাদেরকে। নজরদারি আরও জোড়ালো করবার জন্য সারা কলকাতা জুড়ে আকাশে ড্রোণ ওড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে কর্পোরেশন থেকে। আকাশে ওড়া ওই ড্রোণগুলি থেকে মশা মারার তেলও ছড়ানো যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে কলকাতার ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, “এর ওপরে আছে ১৬টি বরোর প্রত্যেকটার জন্য একটা করে র্যাপিড অ্যাকশন টিম। তাতে ৮-১০ জন কর্মী থাকে সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে। কোনো জায়গায় ডেঙ্গুর খবর পাওয়া গেলে দ্রুত সেখানে পৌঁছে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণের কাজ করে তারা।”
তবে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত বহু মানুষ আসে কলকাতায় সেক্ষেত্রে তাদের কারও মধ্যে ডেঙ্গুর জীবাণু থাকলে তা থেকে কলকাতায় রোগ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অতীন ঘোষ। তাই তিনি বলেন যে, বাংলাদেশ চাইলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেকোনো প্রকার সাহায্য করতে প্রস্তুত তাঁর দল। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে গিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’গুলি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন অতীন ঘোষের লোক।