বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ পর পর দুই বছর তিলোত্তমা কলকাতা দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তকমা পেল । ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী গতবছরের মত এই বছরও দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তকমা পেল আমাদের প্রিয় কলকাতা । কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে গর্বিত কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে ।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০১৮ সালে সারা দেশের মধ্যে তিলোত্তমা কলকাতায় অপরাধ দেশের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় অনেক কম হয়েছে । সারা দেশের মধ্যে বড় বড় মোট ১৯ টি বড় এবং মেট্রো শহরে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো সংগঠিত অপরাধ নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে । সেখানে এই চমকপ্রদ রিপোর্ট উঠে এসেছে ।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতা শহরে সামগ্রিক অপরাধের হার ১৫২.২ ।বড় শহরে প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যার উপর সংগঠিত অপরাধের উপর ভিত্তি করে এই হার নির্ণয় করা হয় । কলকাতার তুলনায় দেশের অন্যান্য বড় শহরে অপরাধের হার অনেক বেশী । রাজধানী দিল্লীতে এই হার ১৪৫৬.৭, চেন্নাইতে ৬৭৭.৫, মুম্বইটে ৩০৯.৯ ।
গত দুই বছরে কলকাতায় খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ ইত্যাদির মোট অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম হচ্ছে । ২০১৮ সালে কলকাতায় খুনের মত ঘটনা ঘটেছিল ৫৫ টি । সেখানে দিল্লীতে ৪১৬ টি এবং মুম্বইতে ১৬৪ টি । অপর দিকে একই সালে কলকাতায় খুনের চেষ্টা করা হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেছে ১৪৩ টি, সেখানে দিল্লী ও মুম্বইটে সেই সংখ্যা ৪৭৩ ও ২৮০ টি । অপহরণের মত ঘটনাও দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় অনেক কম ।
সবচেয়ে গর্বের বিষয়, তিলোত্তমা কলকাতা মহিলাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদান করার ক্ষেত্রেও অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে । ২০১৭ সালের তুলনায় গত দুই বছর শহরে মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মত ঘটনার হার অনেক কমে গেছে । ২০১৮ সালে কলকাতায় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে ১৫১ টি । মুম্বইতে সেই সংখ্যা ছিল ১০৬৯ ।
কলকাতা পুলিশ তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছে, “এই পরিসংখ্যান আমাদের কাছে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক । তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই । শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা । আরও সুদৃঢ় করে তোলা হচ্ছে পরিকাঠামো । নজরদারী বাড়ানো হয়েছে । শক্তিশালী হচ্ছে প্রযুক্তি প্রহরাও । কলকাতাকে বিপদমুক্ত রাখার জন্য আমাদের একাধিক বাহিনী সবসময় প্রস্তুত । এরই পাশাপাশি সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য একাধিক উদ্যোগ ও প্রচারও জারি রেখেছি আমরা । সাধারন নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও নিবিড় হচ্ছে রোজ । কলকাতাকে সম্পূর্ণ অপরাধমুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য । অনুরোধ, আমাদের পাশে থাকুন ।”