ভারত কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার দিন থেকে কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্রমশই কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াও টুজি ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। জম্মু, রেয়াসি, সাম্বা, কাঠুয়া, এবং উধমপুর- এই পাঁচ জেলায় প্রাথমিক পরিষেবা চালু হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় আগামি সোমবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দফতরের কাজ শুরু হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে বাকি জেলাতেও চালু হবে ইন্টারনেট পরিষেবা। জম্মুতে কিছু জায়গায় সাময়িক পরিষেবা চালু হলেও তা মোটেই সার্বিক ছিল না।
কাশ্মীর টাইমস-এর সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হোক। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও দাবি জানিয়েছেন, উপত্যকার বেশ কিছু জায়গায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছে না। তা করতে দেওয়া হোক।
কার্ফু ও ইন্টারনেট বন্ধ মামলার প্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালত বলে, ওখানে শান্তি ফেরাতে সময় লাগবে। কেন্দ্র সেই সময় নিক। আমরা চাই উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করুক।” স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদীরা যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নাশকতা না করতে পারে, সে কারণেই এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানি-সহ তিন জঙ্গির মৃত্যুর পরও ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ করে.দেওয়া হয়েছিল কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর ঈদ এবং স্বাধীনতা দিবস গিয়েছে। বড় কোনও গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটেনি কাশ্মীরে। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের খবর মিলেছে। উপত্যকায় শান্তি ফেরানো প্রশাসনের কাছেও চ্যালেঞ্জ।