বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায় চালিত ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের কথা আমরা সকলেই জানি। রাজ্যের সকল সাধারণ পরিবারের কথা ভেবে এবং কন্যা সন্তান এর গুরুত্ব বাড়াতে এই প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী,  রাজ্যের সকল মেয়ে পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে সরকারের তরফ থেকে অল্প কিছু অর্থ বৃত্তি হিসাবে পাবে এবং বিবাহযোগ্যা হওয়ার পর এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা পাবে। কন্যা সন্তানের গুরুত্ব বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী কতৃক গৃহীত এই প্রকল্প সমগ্র বিশ্বে‌ সমাদৃত হয়েছে।

প্রতি বছর ১৪ই আগস্ট তারিখ’টিকে পশ্চিমবঙ্গে ‘কন্যাশ্রী দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়। একারণে গত বুধবার (১৪ই আগস্ট) রাজ্যের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘কন্যাশ্রী দিবস’ পালন করা হয়েছে, পালিত হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়েও। উল্লেখ্য এই যে, কন্যাশ্রী দিবসে নদিয়া’র কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্যাশ্রী মেয়েদের জন্য জিন কার্ড দেওয়ার কর্মসূচীর সূচনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচীর সূচনা করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শঙ্কর কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্ক প্রসূত কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে। কন্যাশ্রী’র অন্তর্গত মেয়েদের ভবিষ্যতে জিনঘটিত কোনও রোগ হতে পারে কিনা সে সম্পর্কে আগাম সতর্কতা হিসাবে জিন কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেশের মধ্যে প্রথম। কন্যাশ্রী’র অন্তর্গত মেয়েরা অনলাইনে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পর এই কার্ড দেওয়া হবে।”

কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় জিন গবেষণা কেন্দ্র বা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়ো-মেডিক্যাল জিনোমিক্সের অধিকর্তা‌ অধ্যাপক সৌমিত্র মোহন দাস জানান, জিন ঘটিত ২৫ প্রকার রোগ এই কার্ডের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বোস ইন্সটিটিউট এর অধ্যাপক তানিয়া দাস, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মণিদীপ পাল প্রমুখ। জিন কার্ড হাতে পেলে কন্যাশ্রী’র অন্তর্গত ছাত্রী’রা যে উপকৃত হবে সেটা তাঁরা অকপটে জানালেন।

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply