বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: প্রায় দেড় বছর হতে গেলো, আমাদের মধ্যে নেই শ্রীদেবী। শুধুমাত্র বলিউডের একজন নামকরা অভিনেত্রীই নন, বলিউডের শত শত নতুন মুখ অভিনেত্রীর মনে উদ্দীপনা জাগিয়েছিলেন প্রখ্যাত এই অভিনেত্রী। নিজের যৌবনদিপ্ত বয়সে একাধিক সুপারহিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন তিনি, আবার বয়সকালে ‘ইংলিশ ভিংলিশ’, ‘মম’ এর মতো ছবির মধ্য দিয়ে সমাজকে অনেক কিছু শিখিয়ে গেছেন। একারণে শ্রীদেবীর মৃত্যুর সাথে সাথে ভারতীয় চলচ্চিত্র হারিয়েছে তাদের উদ্দীপনা’কে।
শ্রীদেবী’র মৃত্যুর পর তাঁর জীবনের বহু গোপন তথ্য মিডিয়া’র সামনে এলেও, এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ খোলসা করা যায়নি তাঁর মৃত্যুর রহস্য। জনপ্রিয় এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে স্মরণীয় করে রাখতে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের মাদাম তুসো মিউজিয়ামে শ্রীদেবী’র একটি মোমের মূর্তি রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই প্রখ্যাত এই অভিনেত্রীর জীবনের ওপর একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হতে চলেছে ভারতের পেঙ্গুইন র্যানডম হাউস থেকে। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী নভেম্বরে প্রকাশিত হওয়া এই বই এর নাম ‘শ্রীদেবী: দ্য ইটারনাল স্ক্রিন গডডেস’ এবং এর লেখক সত্যার্থ নায়ক। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে যে, বই’টির ভূমিকা লেখা হবে বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর হাত দিয়ে, তিনি হলেন কাজল।
কেন কাজল’কেই বেছে নেওয়া হল এই কাজের জন্য? তাঁর উত্তর নিজেই দিয়েছেন অজয় পত্নী কাজল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, “আমি শ্রীদেবীর তারকাখ্যাতি দেখেই বেড়ে উঠেছি। সেটে তিনি একজন সুপারস্টার। আর বড় পর্দায় তিনি জাদুকর। বড় পর্দা থেকে তাঁর সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আমি তা অনুভব করেছি। তিনি আমার সবচেয়ে প্রিয় আইকন।” এই কাজের সুযোগ পেয়ে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছেন কাজল।
এপ্রসঙ্গে বই’টির লেখক সত্যার্থ নায়ক বলেছেন, “এই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজলের বেড়ে ওঠা। গত শতকের আশি আর নব্বই দশকে শ্রীদেবীর আকাশচুম্বী তারকাখ্যাতি আর তার আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তি শ্রীদেবীকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন কাজল। বছরের পর বছর শ্রীদেবীকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয় তাঁর। তিনি শ্রীদেবীর মেধা, রূপ আর গুণকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আর শ্রীদেবীই তাঁর অনুপ্রেরণা।”
শ্রীদেবী’র শিশুশিল্পী থেকে একজন সুপারস্টার হয়ে ওঠার গল্প থাকবে এই বইয়ে। পাশাপাশি থাকবে এই দীর্ঘ পথে সম্মুখীন হওয়া বহু বাঁধা এবং উত্থান-পতন এর কথা।
ইতিমধ্যেই শ্রীদেবী’র স্বামী বনি কাপুর বই’টির পাণ্ডুলিপি পাঠ করে প্রকাশনে সম্পূর্ণ অনুমোদন দিয়েছেন। এখন শুধু বই এর প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষা।