এত দ্রুত রং বদল হয়তো বাংলা রাজনীতিতে সম্ভব । লোকসভা ভোট শেষ হয়ে গেছে । সেখানে আশানুরূপ ফল হয়নি শাসক দল তৃণমূলের । অপরদিকে আশাতিরিক্ত ফল হয়েছে রাজ্যের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিজেপির । তাই বলে এত দ্রুত রাজনৈতিক কর্মীরা রং বদল করে ফেলবেন ! সেটা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয় ।
লোকসভা ভোটের আগে ও পরে তৃণমূলের ঘরে ভাঙ্গন ধরেছে । অনেকটা নদীর পাড় ভাঙ্গার মত অনুপম হাজরা, অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, শুভ্রাংশু রায়, তালিকাতে কে নেই ? সকলেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে । পাশাপাশি গেরুয়া শিবির ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন পুরসভার কাউন্সিলরাও । যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে পশ্চিমবাংলার বেশিরভাগ পৌরসভার সমীকরণ আবার নতুন করে সাজাতে হচ্ছে ।
যত দলীয় কর্মী দল পাল্টাচ্ছে, ততোই রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রধান মমতা ব্যানার্জির । এর আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, বিজেপি নেতারা তৃণমূলের বিধায়কদের ফোনে বিরক্ত করছেন । তাদের কান ভাঙিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন । কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হলেও এটাই সত্যি, দলবদল এর খেলায় এবার নাম লেখালেন পশ্চিমবাংলার খাদ্যমন্ত্রী এবং মমতা ব্যানার্জির অন্যতম বিশ্বস্ত সেনাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামাই অভ্র সেন ।
শুক্রবার কলকাতার রাজ্য বিজেপি দপ্তরে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামাই (প্রাক্তন) অভ্র সেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দান করেন । বিজেপি নেতা মুকুল রায় তার হাতে দলীয় পতাকা তুলে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন জামাই অভ্র সেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক বিভাগের একজন অধ্যাপক । গেরুয়া শিবিরে তার যোগদানের সাথে সাথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু কর্মী এবং ছাত্রছাত্রী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে এই দিন । অপরদিকে বিজেপির রাজ্য রাজনীতির ” চাণক্য” মুকুল রায় অভিযোগ করেছেন, বিজেপি নেতা তৃণমূল নেতাদের ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য ফোনে বিরক্ত করছেন না, না বরং তৃণমূল নেতারাই প্রতিনিয়ত তার সাথে যোগাযোগ করছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ।