বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ পপ তারকা জাস্টিন বিবারের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা । জাস্টিন বিবারের চেহারা এবং ত্বক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচনা হচ্ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বুধবার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে লাইম রোগে ভুগছি, এখন পর্যন্ত রোগ নিরাময় হয়নি, তবে আমি সুস্থ হয়ে ফিরবো।’
জাস্টিন ড্রিউ বিবার জন্ম মার্চ ১, ১৯৯৪ । তিনি একজন কানাডিয় সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার এবং সঙ্গীত প্রযোজক। বিবার ২০০৯ সালের শেষের দিকে তার প্রথম এক্সটেন্ডেড প্লে মাই ওয়ার্ল্ড মুক্তি পায় । এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম স্বীকৃতি লাভ করে। বিবার-ই প্রথম শিল্পী যার প্রথম অ্যালবামের সাতটি গান বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় স্থান করে নেয়।
বোরেলিয়া বার্গডোরফেরি ব্যাকটেরিয়ার কারণে লাইম রোগ হয়ে থাকে। ব্লাকলেগড টিকস পোকার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে এই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। এ রোগে আক্রান্ত হলে জ্বর, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। জাস্টিন বিবারের এই স্বীকারোক্তি ঘিরেই তাঁর অগণিত ভক্তদের মধ্যে আড়োলন শুরু হয়েছে ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘লাইম’ রোগে আক্রান্ত হলে সেই ব্যাক্তি যদি সঠিক চিকিৎসা না পায়, তাহলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে হৃৎপিণ্ড এবং স্নায়ুতন্ত্রে। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগটি নিরাময় করা সম্ভব। তবে বেশি ছড়িয়ে পড়লে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
জাস্টিন বিবারের প্রথম পূর্ণ অ্যালবাম মাই ওয়ার্ল্ড ২.০ । ২০১০ এর ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে এবং বেশ কয়েকটি দেশে শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম সনদে ভূষিত হয়। এই অ্যালবামের বেবি গানটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। ইউটিউবের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সর্বাধিক প্রদর্শিত, আলোচিত এবং পছন্দিত ভিডিওগুলোর একটি হলো এই গানটির মিউজিক ভিডিও।