বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স অবস্থানে কারনে গত বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাজধানী ঢাকা থেকে অবৈধ ক্যাসিনো চলানোর অভিযোগে যুবলিগের নেতা গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত খালেদ মাহমুদ ভুইয়া ঢাকা মহানগর যুবলিগের দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক। রাতে র্যাবের অভিযান চলার সময় ঐ একই কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটও আসেন। যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে ঐ সময়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে নেতাকর্মীরা। ঘটনার পরে গণমাধ্যমকে সভাপতি সাক্ষাতকার দিতে বলেন, র্যাব খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর নেতাকর্মীরা সবাই অফিসে ছুটে এসেছে। তারা এখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খালেদ মাসুদ গ্রেফতার হওয়ার পর চাঞ্চল্যকরন অনেক অথ্য বেরিয়ে আসে। গ্রেফতারের সময় খালেদ মাসুদের বাসা থেকে একটি অবৈধ ও দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ অস্ত্র এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রায় একই সময়ে ক্যাসিনো ক্লাবের সন্ধানে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব, শাহজাহানপুরের মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও বনানীর আহমেদ টাওয়ারের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অর্থ। তিনটি ক্লাব থেকে অন্তত ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তরুণীও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত অপরদিকে বনানীর একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে বনানীর আহমেদ টাওয়ারের গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ নামের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব-১। পরে ক্যাসিনোটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। জানা যায় যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের আরও একাধিক নেতাকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই তালিকায় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক অনেক নেতার নাম রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত শনিবার বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে অবসারণ করার সময়ে যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এর পর থেকেই যুবলীগের এসব নেতার ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।