ভোটের হাওয়ায় টালমাটাল জোড়া ফুল । মাঝে মাঝেই বিরোধীদলের পক্ষ থেকে কখনো মুকুল রায়, কখনো দিলীপ ঘোষ, আবার কখনো বা কৈলাস বিজয়বর্গীয় কেউ না কেউ হুমকি দিচ্ছে, এই তোমাদের বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে যাব । মাঝে মাঝেই খবর আসছে দু-একটা পৌরসভায় জোড়া ফুল ঝরে পড়ছে, সেখানে ধীরে ধীরে পাপড়ি মেলে ফুটে উঠছে পদ্মফুল ।
কাকিনাড়া, জগদ্দল এখন আগুনের মতো উত্তপ্ত । শাসক দলের দলীয় কর্মীরা সেখানে ঘরছাড়া । পুলিশ প্রশাসন শান্তি কায়েম করতে ব্যর্থ । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুষ্কৃতী ধরতে গিয়েও গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ । উল্টে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের । সাংগঠনিক দিক দেখতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ওখানে সাংগঠনিক দায়িত্বে এখন কেউ নেই ।
ভোট পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা করতে গিয়ে এবং আগামী বিধানসভার জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় কর্মীদের তোলা চলার বিষয়টি। তিনি চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তোলার বিষয় নিয়ে । পাশাপাশি উত্তর 24 পরগনা দায়িত্বে থাকা মমতার অত্যন্ত কাছের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু কে বেশ কিছু দায়িত্ব থেকে রেহাই দিয়ে তার ক্ষমতা টাকে ভাগাভাগি করে দিচ্ছেন । এবার থেকে বালু তথা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না দলীয় আলোচনা করেই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সেটি কার্যকর হওয়া হবে একমাত্র মমতা ব্যানার্জির সীলমোহর পেলেই ।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলা সভাপতি পদে থাকলেও উত্তর 24 পরগনার দলীয় সংগঠনে ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে । ব্যারাকপুরের সংগঠনের দায়িত্বে থাকছেন নির্মল ঘোষ । যিনি বিধানসভার মুখ্য সচেতক হিসাবে আছেন । দমদম এর দায়িত্ব পেতে চলেছেন বরানগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় । একইভাবে বারাসাত লোকসভা সংগঠন দেখবেন মধ্যমগ্রাম বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ । বসিরহাটের পর্যবেক্ষক তথা সংগঠনের দায়িত্ব নিচ্ছেন সুজিত বসু এবং বনগাঁর দায়িত্ব নিচ্ছেন গোবিন্দ দাস । সংগঠনে রদবদল করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি কতটা সুগঠিত করতে পারেন বিধানসভা ভোটের আগে সেটাই এখন দেখার ।