বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ খোদ কোলকাতা শহরের বুকে একের পর লকার থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে সোনার গয়না। পরপর তিনটে ঘটনা ঘটেছে কোলকাতার হেয়ার স্ট্রীট, চিৎপুর, গরিয়াহাট শাখার তিনটি রাষ্ট্রয়ায়ত্ত ব্যাংকে। ১৫ দিনে ৩ টে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে। নড়েচড়ে ওঠে প্রশাসন।
এই প্রসঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা বিসয়ক উপদেষ্টা বলেন, ” গ্রাহক এবং ব্যাংকের মাস্টার কি একসঙ্গে না হলে লকার খোলা সম্ভব নয়।” এর জবাবে জালিয়াতির শিকার স্বর্ণালী দেবী বলেন, ” ব্যাঙ্ক আমাকে আমার চাবি দেওয়ার সময়তো একটি নকল চাবি করিয়ে রাখতে পারতো।” যদিও এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন,” যখন কোনও গ্রাহক লকার ছেড়ে দেন, তারপর সেই একই লকার বরাদ্দ করা হয় অন্য কোনও গ্রাহককে। নতুন গ্রাহককে পুরনো ওই লকার বরাদ্দ করার সময় কি ব্যাঙ্ক লকারের তালা বদল করে? তা না করলে তো চাবি সত্যিই নকল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।”
লকার থেকে এই গয়না চুরি প্রসঙ্গে কোলকাতার পুলিশ প্রশাসন মনে করছেন একটা সুত্র ধরে এগোচ্ছে অপরাধীরা। যাঁদেরই লকার লুট হয়েছে তাদেরই বয়স অনেক বেশী এবং প্রত্যেকেই অনেকদিন পর খুলেছে লকার। যদিও এই জালিয়াতি প্রসঙ্গে পুলিশ প্রশাসন বলেছেন যে, ATM কার্ডের মতোই এটি একটি ভয়ঙ্কর কেলেঙ্কারিতে পরিণত হয়েছে। যদিও এখনও এই বিষয় প্রশাসন কোনও সঠিক সুত্র খুঁজে পায়নি।