বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কেন ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সুপার পাওয়ার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত সমীহ করে চলে, সেটা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে চীন । লাদাখে চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেই বিশ্বের তাবড় শক্তির সমর্থন আদায় করে নিচ্ছে ভারত। সীমান্তে শান্তির প্রশ্নে ভারতের পাশে থাকার বার্তা জাপানের । ইসরায়েলের পর অপর এক শক্তিধর দেশের সমর্থন ভারত পেয়ে যাবার পর ফের চাপে পড়ল চীন ।
চীনের আগে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ইমরান খান লাগতে এসেছিল, এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে সমর্থন আদায় করার জন্য গোটা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছে । কিন্তু শেষে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদীর কূটনৈতিক চালের কাছে হেরে গিয়ে মুখ পুড়িয়ে ঘরে ফিরেছে ইমরান খান । এবার লাদাখ সীমান্তে নিয়ন্ত্রন রেখায় ছল চাতুরির আশ্রয় নিয়ে চীন যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তারপর থেকে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলিকে নিজের দিকে আনতে শুরু করেছে ভারত । প্রথমে ইসরায়েল সরাসরি ভারতকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করার পর সম্প্রতি জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এমন কিছু না ঘটা উচিত যাতে ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমান স্থিতাবস্থা পাল্টে যায়। এককথায় আগ বাড়িয়ে চিনের আগ্রাসী নীতিকেই আক্রমণ করেছে জাপান। পরোক্ষভাবে জাপান ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ।
https://twitter.com/EOJinIndia/status/1278943913777061888
লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারতের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘বিদেশ সচিব শ্রিংলার সঙ্গে ভাল আলোচনা হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কী অবস্থা তা নিয়ে ওঁর বক্তব্যের যুক্তি আছে এবং GOI-এর পলিসি অনুসারে আমরা চাই সীমান্তে শান্তি বজায় থাকুক। জাপান চায় কথাবার্তার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হোক। দ্বিপাক্ষিক দিক থেকেই স্থিতাবস্থা ভঙ্গ হয় এমন কোনও ঘটনা ঘটুক জাপান সেটা কোনওভাবেই চায় না।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন রাতে ভারত এবং চিনা জওয়ানদের মধ্যে গালওয়ান ভ্যালিতে আলোচনার মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে । সেখানে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন । তৈরি হয় যুদ্ধ পরিস্থিতি । দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে প্রধান মন্ত্রী বৈঠক করেন । তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমালোচনার মুখে পড়ে চিন। অন্যদিকে অনেক দেশই গোটা বিশ্বে অতিমারি করোনা সংক্রমণের জন্য চীনকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দায়ী করে আসছে । এমতাবস্থায় জাপানকে পাশে পাওয়া ভারতের পক্ষে অনেকটাই সুবিধা হল বলে মনে করা হচ্ছে ।