ময়লা ফেলায় জাপানিদের নিয়ম কানুন দেখে অনেকের মনে হতে পারে বাড়াবাড়ি। যেখানে ময়লা আমাদের সঙ্গী সেখানে জাপানিরা এ বিষয়ে অনেক সতর্ক। নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট ধরনের ময়লা ফেলতে হবে। তাও আবার যেনতেনভাবে ফেলা চলবে না। সিটি অফিসের নির্দিষ্ট পলিথিন ব্যাগে, নির্দিষ্ট উপায়ে প্যাকিং করে ফেলতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের এরকম কড়াকড়ি নিয়মকানুনই নয়, সাধারণ মানুষের সচেতনতার ফলেই জাপান আজ পৃথিবীর পরিচ্ছন্ন দেশগুলোর অন্যতম।
ছোটবেলা থেকেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ট্রেনিং দেয়া হয় জাপানিদের। তাই এরা এমন শুধু পরিষ্কার করা নয়, জাপানিরা পৃথিবীর সবদেশের থেকে শ্রেষ্ঠ ভদ্র উপাধির অধিকারী। তারই পাশাপাশি জাপানিরা কাজ করতে ভালোবাসে প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে। কারণ জাতিগতভাবে পরিশ্রমী তারা। আমাদের দেশে এই বয়সে হয়তো পুরুষ মহিলারা গল্প, সাংসারিক অলস চিন্তা করেই দিন কাটায়।
জাপানি স্কুলছাত্র মানে একেকজন দেবদূত। তাদের ভদ্রতা, বিনয়, শৃঙ্খলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সমস্ত পৃথিবীর কাছে শিক্ষনীয়। আমাদের দেশের বিদ্যালয়ের ছাত্ররা খাবার যেখানে খাবে সেখানেই ময়লা ফেলবে। সেখানে জাপানের কোন ছাত্র নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া ফেলবে না। ফুটবল বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ দেখে যাওয়ার সময় জাপানি কয়েকজন পুরো স্টেডিয়াম পরিস্কার করেছিল।
আবার দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ ঘুরতে আসা জাপানি এক নারী পর্যটক। অপরিচ্ছন্ন রাস্তা দেখে নিজেই পরিস্কার করতে লেগে যান।