বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ হলো জাপানে। গত মঙ্গলবার টোকিওতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ায় জাপান যেসব দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কর্মী নিয়োগ করবে, সেই তালিকায় বাংলাদেশও যোগ হলো।
জাপানে স্বাক্ষরিত স্মারকে দুই ক্যাটাগরিতে আগামী পাঁচ বছর কেয়ার ওয়ার্কার, বিল্ডিং ক্লিনিং ব্যবস্থাপনা, মেশিন পার্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেক্ট্র্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কনস্ট্রাকশন, জাহাজ শিল্প, অটোমোবাইল, কৃষিসহ জাপানের ১৪টি খাতে বিশেষভাবে দক্ষ এবং জাপানি ভাষায় পারদর্শী কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হবে।
তবে উল্ল্যেখ থাকে প্রথম ক্যাটাগরিতে জাপানি ভাষার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকলে পরিবার ছাড়া জাপানে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে যাদের জাপানি ভাষা ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা প্রথম ক্যাটাগরির কর্মীদের চেয়ে বেশি, তারা পরিবারসহ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বরে জাপানের পার্লামেন্টে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৩ লাখ ৩৪ হাজার কর্মী নিয়োগে বিল পাস হয়। প্রাথমিকভাবে আটটি দেশ ভিয়েতনাম, চীন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড ও পূর্ব এশিয়ার অন্য একটি দেশের নাম এই তালিকায় ওঠে। এখন বাংলাদেশও সেই তালিকায় ঢুকল।
বর্তমান বছরের এপ্রিল থেকে কর্মীদের জন্য দুই ধরনের ভিসা ব্যবস্থা চালু করেছে জাপান। বিদেশি কর্মী যাদের ন্যূনতম কারিগরি শিক্ষা রয়েছে, তারা ৫ বছরের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবে। এই সময়ের মধ্যে তারা পরিবারের সদস্যদের জাপানে নিতে পারবে না।
তবে দক্ষ ব্যাক্তি যারা যেমন গবেষক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী তারা জাপানে যতদিন খুশি ততদিন থাকতে পারবেন। সেই সাথে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও জাপানে নেয়ার সুযোগ পাবেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কর্মী জাপানে পাঠাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত ।