বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: চলতি বছরের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে ভারত সরকার কতৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ দুটি খারিজ করার কথা ঘোষণার পর থেকেই সীমান্তবর্তী জম্মু ও কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় পাকিস্তানের স্বার্থে ঘা লাগে, একারণে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশী নয় তারা।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী একটি ঐতিহাসিক সমস্যা হল কাশ্মীর। তা স্বত্বেও, পকিস্তানের সাথে কোনরূপ আলোচনা ছাড়াই ভারত সরকার একপাক্ষিক ভাবে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র’টি। এমনকি নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযোগও তারা; কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু লাভ না হওয়াই আরও অসন্তুষ্ট হয়েছে পাকিস্তান। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে পাকিস্তান।
ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা দুটি বাতিলের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীর এর বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পরই সামাজিক গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় সমগ্র বিশ্ববাসীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এছাড়াও, পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে বেশ কিছু পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ভারতে বসবাসকারী হিন্দু’দের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে, নিজেরাই আরও বেশী করে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে পাকিস্তান। আর কোনও উপায় না পেয়ে অবশেষে বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়’কে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। এই উদ্দেশ্যে গত ১৩ই সেপ্টেম্বর পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে এক জনসভায় হুঁশিয়ারি দেন ইমরান খান। হুঁশিয়ারি’র পাশাপাশি, সমগ্র বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক দেন তিনি।
এরপর সম্প্রতি পাকিস্তানের ‘জইশ-এ-মহম্মদ’ নামক হিংস্র সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নামে আসা একটি হুমকি চিঠি ভারতীয়’দের হাতে পৌঁছায়, যা ভয়ংকর বিপদের সংকেত দিচ্ছে ভারতবর্ষের জন্য। ভারতবর্ষের অন্তর্গত রোহতাক রেলস্টেশনের আধিকারিকদের কাছে এই হুমকি চিঠি এসে পৌঁছায়।
সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ওই চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী আগামী ৮ই অক্টোবরের মধ্যে দেশের ৬টি রাজ্যের বেশ কয়েকটি রেল স্টেশন এবং মন্দির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে। হুমকিপ্রাপ্ত এই বিশেষ বিশেষ রেল স্টেশনগুলির মধ্যে রয়েছে মুম্বই, চেন্নাই, রোহতাক, হিসার, জয়পুর, ভোপাল এবং কোটার মতো সদাব্যস্ত স্টেশন। একারণে বর্তমানে এই চিঠি ভারতীয়দের জন্য ভয়াবহ আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
জানা যাচ্ছে যে, স্কুলের খাতা থেকে ছেড়া একটি কগজে এই চিঠি লিখে প্রেরণ করা হয়েছে। সত্যিই কি ভারতের সামনে মহাবিপদ, না কি নিছকই মজা করেছেন কেউ? বর্তমানে এই চিঠির সত্যতা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।