জয় শ্রীরাম নিয়ে কম তর্ক-বিতর্ক হয়নি । কারোর কাছে জয় শ্রীরাম ‘প্রতিবাদের ভাষা’, কারোর কাছে জয় শ্রীরাম প্রহারের ভাষা’, আবার কারো কাছে জয় শ্রীরাম ‘গালাগালি’ । জয় শ্রীরাম বিতর্ক কোন মতেই পশ্চিমবাংলায় থামছে না । ভিআইপি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে জয় শ্রী রাম এর সাথে যুক্ত হয়েছে কিছুদিন আগে কাঠ মানি প্রসঙ্গ ।
এবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে জয় শ্রীরাম এবং কাট মানি নিয়ে প্রশ্ন ছাপা হলো । জয় শ্রীরাম কথাটি সমাজ জীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এই বিষয়ে সংবাদপত্রে বিভিন্ন প্রতিবেদন রচিত হয়েছে । আবার রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন কাজকর্ম করার জন্য এবং তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে অতিরিক্ত মানি বা টাকা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে আদায় করেছেন সেটি ফেরত দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল .
সম্প্রতি মগরা থানার অন্তর্গত আকনা ইউনিয়ন বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর প্রশ্ন-এ “জয় শ্রীরাম ধ্বনি সমাজ জীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে – এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লেখ” এবং “দুর্নীতি দমনে কাট মানি বন্ধ ও ফেরত, পশ্চিমবাংলা সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ – এ বিষয়ে সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন রচনা করো” এই দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয় । প্রত্যেকটি প্রশ্নের নাম্বার ছিল 5 । পরীক্ষা হয়ে গেছে । ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ উত্তর দিয়েছে, কেউ কেউ উত্তর দেয় নি । কিন্তু একটু দেরি হলেও অন্যান্য শিক্ষকদের নজরে আসে এই প্রশ্নের বিষয়টি । তখন শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় ।
অবশেষে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের চাপে পড়ে ওই প্রশ্নের উত্তর কেউ লিখুক না লেখক তার কোন মূল্যায়ন করা হবে না এবং সকলকে পাঁচ নম্বর করে দিয়ে দেওয়া হবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । এই বিষয়টা নিয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিত কুমার পাইন মহাশয় কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “অত্যন্ত নিন্দা জনক ঘটনা । পরীক্ষা হয়ে গেলেও আমরা ঐ প্রশ্নের উত্তরের কোন মুল্যায়ন করবো না । উত্তর লেখা হোক বা না হোক, সবাইকে 5 নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে । পাশাপাশি প্রশ্নটি যিনি বানিয়েছেন, সেই অভিযুক্ত শিক্ষক সুবাসিস ঘোষ আমাদের কাছে লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করেছেন ।”