বিয়ে পরবতী বেড়ানয় বেছে নেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। মো: মনিরুল ইসলাম বিয়ে করেন ফারহানা ইসলাম তানিয়া। বিয়ের আনন্দ ভ্রমণেই প্রাণ যায় দুই বাংলাদেশীর কলকাতায়। প্রবল বৃষ্টির রাতে খাবার খেয়ে হোটেলে ফেরার জন্য অপেক্ষা করেন এই দুই বাংলাদেশি ট্রাফিক কন্ট্রোল বুথে। তাদের সাথে ছিলেন আরেকজন।
বেপরোয়া গতিতে আসা জাগুয়ার গাড়িটি মারসিডীসকে প্রথমে ধাক্কা মারে ও সঙ্গে সঙ্গেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ট্রাফিক কন্ট্রোল বুথে ঢুকে পরে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই বাংলাদেশি নাগরিককে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
গত ১৭ আগস্ট শনিবার রাত ১:৫০ নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়ার সরণি ও লাউডন স্ট্রীটের ক্রসিং এ ঘটনা ঘটে।
জাগুয়ারটি কলকাতার একটি নামী রেস্তোরাঁ চেনের নামে রেজিস্ট্রেশন করানো। তদন্তকারীদের মতে, সিগন্যাল ভেঙে জাগুয়ারটি দুরন্ত গতিতে ছুটে আসার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জাগুয়ারটি ও তার মালিককে কলকাতা পুলিশ আটক করেছে।
কলকাতা ময়না তদন্ত ও অন্যান্য আইনী প্রক্রিয়া সেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ দু’টি বাংলাদেশে আনা হয়। মাঈনুল আলম ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি গ্রামীণ ফোনের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার চাচাতো ভাই জিহাদ আলী মরদেহটি গ্রহণ করেন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তার চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন মরদেহটি গ্রহণ করেন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে রাজধানীর ধানমন্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন।