মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কয়েক দফা ফেরত দেওয়ার আলোচনা হলেও তা শেষ পর্যন্ত সফলতার আলো দেখেনি। এ সফলতা না পাওয়ায় সরকার চিন্তিত। এজন্য রোহিঙ্গা শিরিরে কাজ করা দেশি বিদেশী এনজিও বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হবে। সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মনে করে এখানে কাজ করা ৪১ টি এনজিও কাজের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ গুলি সরকার খতিয়ে দেখবে। কিছুদিন আগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম করতে গিয়ে রোহিঙ্গারা একটি সমাবেশ করেছে। যা নিয়ে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরকার মূলত তিনটি বিষয়ে এ তদন্ত করবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারে ফেরত যেতে না চাওয়ার পিছনে কোন ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে কিনা। সম্প্রতি শরণার্থী শিবিরের ভেতরে রোহিঙ্গাদের বড় একটি সমাবেশ করার ক্ষেত্রে অর্থ যোগান বা অন্যান্য সহযোগিতা করা হয়েছে কিনা । শরণার্থী শিবিরের ভেতর রাষ্ট্রবিরোধী কোন কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে কিনা। সরকারের এ তদন্ত কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা শাখা পরিচালনা করবে।
অনেকে মনে করেন এনজিও গুলো হয়ত ভাল কাজের জন্য কোন কিছু তাদের প্রদান করছে। রোহিঙ্গারা তা নিয়ে খারাপ কাজে ব্যবহার করছে। দুই বছর আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশে স্থায়ী থাকার চিন্তা করছে। অনেকেই মনে করেন রোহিঙ্গাদের এই কর্মকান্ডে বাইরের ইন্ধন থাকতে পারে।
এনজিও প্রতিনিধিরা মনে করেন কিছু এনজিও খারাপ কাজে লিপ্ত থাকতে পারে তবে ঢালাও ভাবে অভিযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একারনে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি সরকারের প্রত্যাবসন কমিশনার আবুল কালামকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সূত্র থেকে বলা হয় আবুল কালামের বদলি নিতান্তই রুটিন বদলি। তার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিনে ৩২ টি রোহিঙ্গা শিবিরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে।