বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা ট্রলার ডুবির তদন্তে নেমে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ! রোহিঙ্গা যাত্রী বোঝাই যে ট্রলার তলিয়ে গেছে, তার অনেক যাত্রী নিখোঁজ । উদ্ধার করা হয়েছে যে ৭৩ জন যাত্রীকে তাদের বেশিরভাগ মহিলা ছিলেন । তবে কি এভাবেই জলপথে পাচার করা হত মহিলা রোহিঙ্গাদের ! কারন বাংলাদেশ থেকে অত দূরে পাড়ি দেবার ক্ষেত্রে প্রায় সকলেই মহিলা যাত্রী – এটি বড়ই বেমানান ।
বিশ্ব সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ডের কাছে যে ট্রলার ডুবে যায়, তাতে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে । সবচেয়ে অবাক করার বিষয়, এই ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন মহিলা এবং বাকি ৪ জন শিশু । এখনও পর্যন্ত যে ট্রলারটি তলিয়ে গেছে সেটির খোঁজ পাওয়া যায়নি । তল্লাশির কাজ জারি রেখেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনি ও উপকূলরক্ষীরা
বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বেশ কয়েকজন মহিলা যাত্রী জানিয়েছে, তাদের বিবাহ দেবার জন্যই বাংলাদেশ থেকে সুদুর মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । এছাড়া, বাংলাদেশের কক্সবাজার পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে এভাবে রোহিঙ্গা মেয়েদের প্রলোভবন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে গোপনে মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে সস্তা পন্য হিসেবে রোহিঙ্গা মহিলাদের বিক্রির তথ্য সামনে আসছে। মুলত গরীব দেশগুলি থেকে বিশেষ করে , দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্য প্রাচ্য এবং আরব দেশগুলিতে নারী পাচার হয় বেশী । সেখানে মহিলারা মুলত যৌন দাসী হিসাবে বিক্রিত হন ।
বাংলাদেশের কক্সবাজার পুলিশ পাচারের সাথে জড়িতদের ধরার জন্য ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে । জানা গেছে বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র পথেমালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সবাই মাথাপিছু চল্লিশ হাজার করে টাকা দিয়েছিল দালালকে। মহিলাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিয়ে হবে এই আশ্বাস দিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির রয়েছে কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে । পাচারকারীরা সহজেই এই শিবিরের রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিদেশে পাচার করছে ।