বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার আসানসোলে গিয়েছিলেন নগরায়ন নগর উন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আসানসোলের বিধায়ককে “মৌসুমী পাখি” বলে কটাক্ষ করেছিলেন ।এইবার গতকালই আসানসোলের একটি সভায় সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে ছাড়েননি । তিনি বলেন, ‘আমাদের এক কাপুরুষ তাঁর বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চলো সখা বলে মোদীজির দলে গেলেন। আসলে সিবিআই বা ইডির ভয় আছে এমন কাপুরুষরা সোজা পৌঁছে যাচ্ছেন গেরুয়া ওয়াশিং মেশিনে। আর সেখানে তাঁরা নিজেদের ধুয়ে নিয়ে স্বচ্ছ হচ্ছেন।’
কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সদ্য সদ্য বিজিবিতে যোগ দিয়েছেন । তবে তিনি একা যোগ দেননি, তার সাথে ছিল তার বান্ধবী বৈশাখীও । বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল সম্পর্কে বেশ কিছু অভিযোগ করেছিলেন । সেই সময় তিনি বলেছিলেন, বাম জমানার থেকেও বাংলায় এখন বেশি সন্ত্রাস চলছে । জীবন বিপন্ন করে বিরোধী দলকে সংগঠন চালাতে হচ্ছে । এখন বাংলাকে সন্ত্রাস মুক্ত করার সময় এসেছে । পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকেও ছেড়ে কথা বলেননি । মমতা ব্যানার্জির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি ।
এই সমস্ত বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেও তার প্রাক্তন দল তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাক্যবাণে বিদ্ধ হয়েও কোনো কটু কথা বলেননি । শোভন চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, “শোভন সুস্থ থাকুক এটাই চাই। চেষ্টা করেছি বিধায়ক হিসেবে ওঁকে ধরে রাখার। উনি ভালো বুঝেছেন তাই চলে গিয়েছেন।”
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে এতদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কিছু না বললেও, ফিরহাদ হাকিমের এই বক্তব্যের পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আর ছেড়ে কথা বলবে না কেউ । ইতিমধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপর থেকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার সুবিধা তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার । এদিন নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে ফিরহাদ বলেন, ‘রাজনীতি আসলে একটা ফুটবল খেলা। মাঝে মধ্যে বল নিয়ে পিছিয়ে গেলেও গোলপোস্টকে লক্ষ করে আবার এগোতে হবে। অনেকে মনে করছেন এ বারের লোকসভা ভোটে এখান থেকে বাবুল সুপ্রিয় দ্বিতীয়বার জিতেছেন। আমি তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই, প্রথমবার তিনি জেতার পর আসানসোল পুরসভা এবং এখানকার বেশিরভাগ বিধানসভাগুলিতে তৃণমূল জিতেছিল। ইডি বা সিআইডির ভয় দেখালেও বাংলার মানুষ বিজেপির ক্রীতদাস হয়ে থাকবে না।’