বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ভারতে সম্প্রতি বন্যার কারনে পেয়াজের ফল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে ভারত পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করায় বাংলাদেশে পেয়াজের মূল্যের উর্ধ্বগতি চলছে। পেয়াজের মূল্যের এই উর্ধ্বগতি রোধ করার জন্য বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বানিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেছেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
গত মঙ্গলবার বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সভা কক্ষে এক সভায় পেয়াজের বাজারের উর্ধ্বগতি রোধে করণীয় সম্পর্কে এক সভায় কথা বলতে গিয়ে বানিজ্য সচিব একথা বলেন। বানিজ্য সচিব আরো জানান, ‘সারা বছরই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা হবার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য (এমইপি) নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার। এখন তা ৮৫০ মার্কিন ডলার করেছে ভারত।’
সরকারের সূত্রে জানা যায় বছরের এ সময়টাতে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে। ফলে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমার, মিশরসহ অন্য রপ্তানিকারক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি রোধে সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
সরকারের তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশে বছরে মোট পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দেশে উৎপাদন হয়েছে ২৩.৭৬ লাখ মেট্রিক টন। বছরে আমদানি হয়ে থাকে ১০ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ স্বাভাবিক ভাবেই নষ্ট হয়ে যায়।