সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে

বাংলাদেশে ধান চাষের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই বিঘ্নিত হচ্ছে ভারতের অর্থনীতি

বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। উভয় দেশের মধ্যে মৈত্রী’র সম্পর্ক বহুদিনের। তার সুত্রে বহু প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় উভয় দেশের মধ্যে।

শস্যশ্যামলা ভারতবর্ষ। প্রতিবছর’ই ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ শস্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়। চাল রপ্তানি তার মধ্যে অন্যতম।

 

২০১৭-১৮ অর্থবছরে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি বাসমতি চাল রপ্তানি হয়। সেই সময় ভারতবর্ষ থেকে মোট ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার টন বাসমতি চাল রপ্তানি হয়েছিল।

 

সম্প্রতি ভারতের এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(এপিইডিএ) এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের চাল রপ্তানি আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশের বেশি কমে ৬২ লক্ষ টনের নিচে নেমে গেছে। এবং এটি মূলত হয়েছে, বাংলাদেশ ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে।

বাংলাদেশ হলো ভারতের চাল রপ্তানির একটি বৃহৎ ক্ষেত্র। তবে গত মৌসুমি আবহাওয়াই ধানের চাষ ব্যপক পরিমাণে বেড়ে যাওয়াই ভারত থেকে চাল আমদানির পরিমাণ কমিয়ে দেয় বাংলাদেশ, আর তারই প্রভাব পড়ছে ভারতের অর্থনীতির ওপর।

 

তবে এপিইডি -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এপ্রিল-জানুয়ারি সময়ে ভারত থেকে অন্যান্য জাতের চাল রপ্তানি কমলেও বাসমতি চালের রপ্তানি তুলনামূলকভাবে বেড়েছে ভারতের। ২০১৮-১৯ এর এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বমোট ৩৩ লক্ষ ৬০ হাজার টন বাসমতি চাল রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১২.৫৯ শতাংশ বেশী।

মন্তব্য
Loading...