বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: পেঁয়াজের বাজার ভারতের উর্ধ্বগতির সাথে রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশের নিজস্ব উৎপাদিত পেঁয়াজ দেশের চাহিদার সাথে যথেষ্ট নয়। যার ফলে ভোক্তরা অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে সরকার ভারত ব্যতিত বাজারের দিকে নজর দেয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবালয়ে পেয়াজের আমদানি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বানিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ভারত, তুরস্ক, মিসর ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ায় দ্রুত নিত্যপণ্যটির দাম কমেছে। মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজরগুলোতেও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। কোনো বাজারেই পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। মূল্য দ্রুত কমে আসছে।
বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন আরো বলেন, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারজাত সহজ ও দ্রুত করতে সরকার ইতোমধ্যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাজার তদারকি জোরদার করেছে।
প্রসঙ্গত, মিসর ও তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। জানা যায় কয়েকদিনের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
বানিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন এ সভায় আরো উল্ল্যেখ করেন, পেঁয়াজ আমদানিকারক এবং পাইকারি ও খুচড়া ব্যবসায়ীদের কাছে আমদানি, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, পেঁয়াজের বর্তমার মূল্য খুবই সাময়িক। ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। আমদানিও বাড়ছে। সরকারের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় পেঁয়াজের বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে।