ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর, ভ্রমণের জন্য শ্রেষ্ঠ স্থান। কাশ্মীরি শাল। পাকিস্তান ভারতের লড়াই কাশ্মীর নিয়ে। এরকম বিভিন্ন ভাবে বিখ্যাত কাশ্মীর। তারই সাথে কাশ্মীরী কণ্যারাও কম বিখ্যাত নয়। ভারতের কাশ্মীর নিয়ে বিভিন্ন আলোচনার সাথে গত কয়েকদিন ধরে গুগলের সার্চে সর্বোচ্চ অবস্থান করছে কাশ্মীরি কণ্যা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ গুগল সার্চে অবস্থান ১৬ নম্বরে সেখানে কাশ্মীরী কণ্যার অবস্থান রয়েছে প্রথমে। গুগলের তথ্য মোতাবেক জানা যায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা ৮৭ শতাংশ খুজছেন কাশ্মীরি কণ্যাদের। একই সাথে ১৩ শতাংশ জানতে চায় কাশ্মীরি বিয়ে সম্পর্কে।
কাশ্মীরি কণ্যাদের বাইরে বিয়ে নিষিদ্ধ ছিল না। তারা বাইরের রাজ্যে বিয়ে করতে পারতেন তবে বাবার বাড়ির সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতেন। জম্বু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত হলে কাশ্মীরি কণ্যারা পিতৃসূত্রে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যের লোকেরা এখন মনে করছে কাশ্মীরি কণ্যা বিয়ে করা মানেই রাজত্ব ও রাজকন্যা একসাথে পাওয়া। একই সাথে অনেকেই মনে করে কাশ্মীরি কণ্যাদের চেহারাও সুন্দর। কাশ্মীরে আগে ভারতীয় অন্য প্রদেশের লোকেরা সব সময় যেতে পারত না। বিশেষ মর্যদা ভারতের সংবিধান থেকে থেকে বিলোপের পর বিজেপির এক বিধায়ক বলেছেন, ভারতীয়রা এখন নির্ভয়ে কাশ্মিরে যেতে পারবে,কাশ্মিরী মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে।
একই সাথে উত্তর প্রদেশের খাটাউলি এলাকার বিজেপির বিধায়ক বিক্রম সাইনি মঙ্গলবার দলের এক সভায় বলেন, বিজেপি কর্মীরা এখন সেখানে নির্ভয়ে যেতে পারবেন, জমি কিনে সেই রাজ্যের মেয়েদেরই বিয়ে করতে পারবেন।
বিজেপি ও বিজেপির সমর্থকগোষ্ঠী এই বিষয়টিকে মোদি সরকারের সাফল্য বলে মনে করছেন। এই সাফল্যে ভারতের অধিকাংশ ব্যাক্তিবর্গ কাশ্মীরি কণ্যাদের বিষয়ে জানতে চাইছেন।
কাশ্মীর এখন আর দশটি সাধারণ রাজ্যের মত সরকারিভাবে বিবেচিত হবে বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলটি। এর আর কোনো বিশেষ মর্যাদাও থাকবে না। সেই সঙ্গে কাশ্মিরে সম্পত্তি কেনাবেচার ক্ষেত্রে অন্যান্য ভারতীয়দের ওপর যে বিধিনিষেধ ছিল সেই বিধানও বাতিল হয়েছে। এর মাধ্যমে কাশ্মিরের জনবিন্যাসে পরিবর্তন আনারও পথ খুলে গেল বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণের সতত্যা ধরা পড়ছে গুগলের হিসাবে একারণে ভারতীয়রা কাশ্মীরি কণ্যা বা কাশ্মীর নিয়ে এত আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
বিজেপির এক বিধায়ক কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “আগে কাশ্মিরী মেয়েদের ওপর নানা ধরনের নৃশংস কার্যকলাপ চলত। সেখানকার মেয়েরা উত্তরপ্রদেশ বা দেশের অন্য যুবকদের বিয়ে করলে তাদের নাগরিকত্ব খারিজ করা হতো। কাশ্মিরের বাসিন্দাদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। কিন্তু ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফলে সেসব আর হওয়ার সুযোগ নেই। দলের অবিবাহিত যুবকরা এর ফলে বেশ উত্তেজিত।”
কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি তথা ভারতের এই সিদ্ধান্তে অবিবাহিত যুবকেরা যে উত্তেজিত হবে তা বিধায়করা আগেই ধারণা করেছিলেন। তারা হয়ত আগেই বুঝতে পেরেছিলেন অবিবাহিত যুবকদের কাছে কাশ্মীরি কণ্যা কতটা মূল্যবান।
‘ম্যারি কাশ্মিরী গার্ল’ গত তিন দিনে সর্বোচ্চ সার্চের হওয়ায় কাশ্মীরি কণ্যাদের যে আকাশ ছোয়া দাম হতে যাচ্ছে তা বোঝাই যাচ্ছে। অনেক ভারতীয় যুবক হয়ত এ সুযোগে ব্যবসার পরিকল্পনা করছেন। ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর পর্যটকদের আকর্ষনের জায়গা। কাশ্মীরি কণ্যা বিয়ে করে কেউ বা হোটেল, কেউ মোটেল বানাতে পারবে।
একই সাথে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে ভারতীয় তথা সমগ্র বিশ্ববাসীর আলোচিত জায়গা হয়েছে কাশ্মীর। ১৯৪৭ সালে কাশ্মীর মুসলিম প্রধান হলেও রাজা হিন্দু হওয়ায় কাশ্মীর ভারতের মধ্যে অবস্থান করে। তারপর থেকেই বারুদ আর জীবন হানির রাজ্য ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর। কাশ্মীরি কণ্যারা তাদের হাতের ঢালি নিয়ে অন্য রাজ্যের যুবকদের বরণ করতে পারে না। তাই অধরা কাশ্মীরি কণ্যারা এখন টানছে ভারতীয় যুবকদের।