এর আগেও নানা ধরণের হিংসাত্মক এবং বিতর্কিত পোস্টের দরুন বহুবার জবাবদিহি করতে হয়েছে সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুক কে। এর ফলস্বরূপ বহু পোস্ট এবং অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে বাধ্য হয়েছে গণমাধ্যমটি। আবারও একবার ফেসবুকে বিতর্কিত মূলক পোস্ট করে নজির গড়ল ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের এক যুবক।
বাস্তব দুনিয়ার বাইরেও আমরা সকলেই নিজেদের অনুভূতির একটি দুনিয়া তৈরি করে নিই যার প্রভাব আমাদের জীবনে বাস্তবিকতার চেয়েও অনেকাংশে বেশী, আর এক্ষেত্রে তরুণ সমাজের মধ্যে বড় অংশের জীবনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে প্রেম বা ভালোবাসা। প্রেমে ব্যর্থতার প্রভাব যে কোনও অল্পবয়সী যুবক বা যুবতীর জীবনে কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে, মূলত সেটাই প্রমাণ করে ছাড়ল ২২ বছর বয়সী শ্যাম সিকারওয়ার।
পুলিশি সূত্র থেকে জানা যায় যে, সম্প্রতি অন্য একজনের সহিত শ্যামের প্রেমিকার বিবাহ স্থির হওয়াই বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল শ্যাম। এরই জেরে নিজের চাকরি’টাও হারিয়ে ফেলে শ্যাম। তবে এখানেই শেষ নয়। জল এতদূর পর্যন্ত গড়ায় যে অবশেষে গত শনিবার (২০শে জুলাই) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভ এসে আত্মহত্যা করে বসে শ্যাম। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে আগ্রা শহরের রাইভা গ্রামের একটি মন্দিরে আত্মহত্যা করে শ্যাম।
আগে শ্যামের লেখা ৪ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট পুলিশের হাতে আসে। সেখানে প্রথমেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরুন নিজের বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সে। এছাড়াও নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে শ্যাম। প্রেমিকার সম্পর্কে সে লিখেছে, “আমার ওকে ছাড়া শূন্য লাগছে, আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। আমি এটা মেনে নিতে পারছি না যে, অন্য কারো সঙ্গে ওর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ওকে হারানোর যন্ত্রণা আমাকে এতটাই আক্রান্ত করেছে যে, আমি আমার চাকরিটাও হারিয়ে ফেলেছি।”
চার মিনিট যাবৎ চলা লাইভে শ্যাম নিজের ঘটনায় কোনও তদন্ত বা ব্যবস্থা না নিতে অনুরোধ জানায় পুলিশকে। পাশাপাশি সে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নিজের মৃতদেহের কিছু ফটো তার ফেসবুকে পোস্ট করার অনুরোধ করে।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর শ্যামের পরিবারের হাতে তার মৃতদেহ তুলে দেয় পুলিশ। বর্তমানে শ্যামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি বন্ধ রেখেছে তার পরিবার।