বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ এক দিকে ভারত বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে অন্য দিকে চীনের সাথে একের পর এক বানিজ্য বন্ধ করার পথে হাঁটছে । গতকাল নরেন্দ্র মোদী লাদাখ সফর করার পরেই আজ থেকে ভারতের যুদ্ধ বিমান উড়তে শুরু করেছে । চীনের দাদাগিরি যে আর কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, সেই হুশিয়ারি যেন দিচ্ছে ভারত !
গত মাসের ১৫ তারিখ লাদাখের গালওয়ান উপতক্যায় ভারত এবং চিনা সেনাদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তার পর থেকেই যত দিন যাচ্ছে, তত যেন লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। একদিকে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ছে গালওয়ান উপত্যকায় নিজেদের গতিবিধি বাড়াচ্ছে চিন । চীনের এই আগ্রাসী মনোভাবে ভারত যে চুপচাপ বসে নেই তার প্রমান দিতেই লাদাখের আকাশে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মহড়া। রাশিয়ায় তৈরি সুখোই-৩০ এমকেআই ও মিগ-২৯ বিমানের গতিবিধি দেখা যাচ্ছে আকাশে।
একদিকে চীনের সাথে আলোচনা চলছে অন্য দিকে সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি চলছে । লাদাখের প্রত্যন্ত এলাকায় মালবাহী বিমান আমেরিকার সি-১৭ ও সি-১৩০জে এবং রাশিয়ায় তৈরি ইউশিন-৭৬ ও আন্তোনভ-৩২ প্রতিদিনই সেনার জন্য সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছে । যে কোন সময় অন্য এলাকা থেকে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে ।
ভারতীয় বায়ু সেনার পক্ষ থেকে তৈরি রয়েছে আমেরিকায় তৈরি অ্যাটাক চপার অ্যাপাচেও। এই হেলিকপ্তারকে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক চপার হিসাবে ধরা হয় । যুদ্ধের পরিস্থিতি যে কোন সময় ঘুরিয়ে দেবার ক্ষমতা রয়েছে অ্যাপাচের । দিন বা রাত যে কোন সময় যে কোন আবহাওয়ায় আক্রমণ শানাতে অ্যাপাচের জুড়ি নেই । অ্যাপাচের পরেই থাকছে চিনুক । যখন খুশি উড়াল দেবার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে চিনুক । এছাড়া রয়েছে মিগ ২৯ ।
সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন “লাদাখ সীমান্তে হামলা হলে সীমান্ত লাগোয়া ছাউনিগুলির গুরুত্ব সবথেকে বেশি। তাই আমাদের সবথেকে বেশি তৈরি থাকতে হচ্ছে। প্রাথমিক ধাক্কাটা আমাদের সামলাতে হবে। তারপরে পিছনে ছাউনি থেকে সাহায্য আসবে।” এছাড়া বায়ু সেনার পক্ষ থেকে এক উইং কম্যান্ডার জানিয়েছেন, “সব ধরনের প্রতিকূল অবস্থার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা তৈরি। সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখছি আমরা। বর্তমান দিনে যুদ্ধের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বায়ুসেনা। তাই আমাদের ১০০ শতাংশ তৈরি থাকতে হচ্ছে।”