বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ঝুলি থেকে একের পর এক তাস বের করে পাকিস্তানকে টেক্কা দিচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক হামলার পর উড়িষ্যার এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদি দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, আমরা 130 কোটি মানুষের দেশ, আমরা ভয় করতে যাব কেন ? বরং আমাদের ভয় করে বাকি দেশগুলোকে চলতে হবে । এমন কন্ঠে ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী কথা বলেনি কোনদিন ।
পাকিস্তানকে চাপে ফেলার পর কাশ্মীরে 370 ধারা বিলুপ্ত করা কিংবা তিন তালাক বিল পাস করানো নরেন্দ্র মোদির বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক । এতদিন পাকিস্তানকে পাত্তা দিয়েছে ভারত, কিন্তু দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে পাত্তা দেওয়া তো দূরের কথা বরং আরো বেশি চাপে ফেলেছে । এমনকি তাঁর কূটনৈতিক কৌশল আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানকে হেয় প্রতিপন্ন করছে বারংবার ।এবার পাকিস্তানের শত নিন্দার মধ্যে তিনি আমিরশাহির সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করে নিলেন । পাশাপাশি সেই সাথে আমিরশাহির সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো শক্ত করলেন ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব জায়েদ’ তুলে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখায় শনিবার মোদীকে এই বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে।আগেই এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিল আমিরশাহী। দীর্ঘদিন ধরে আরব আমিরশাহীর সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রাখার জন্যই দেওয়া হচ্ছে এই বিশেষ সম্মান।আরব আমিরশাহীর যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহয়ান জানিয়েছিলেন, দুই দেশের সম্পর্কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
তাঁর কথায়, ভারত ও আরব আমিরশাহীর মধ্যে যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ছিল, তাকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন মোদী। আগামিদিনে দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়, সেই ক্ষেত্রেও মোদী কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন যুবরাজ।গত বছর এই স ম্মান দেওয়া হয়েছিল চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং-কে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অন্যতম স্রষ্টা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহয়ানের নামে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। তাঁর জন্মশতবর্ষে পুরষ্কারটি দেওয়া হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীকে।
এই সফরে, আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে হয় আলোচনা। উল্লেখ্য, ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ট্রেড পার্টনার। ভারতকে যেসব দেশ তেল দেয়, তাদের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম এই আমিরশাহী। মোদীর সফরে আগামিদিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও পোক্ত হবে বলে বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।