বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবি’র কথা মনে আছে তো? সেখানে অজয় দেবগণ নিজের স্ত্রী ঐশ্বর্য রায়’কে তাঁর প্রেমিক অর্থাৎ সলমন খান এর হাতে তুলে দিতে লন্ডন পর্যন্ত গিয়েছিলো। এ তো গেলো সিনেমার গল্প। কিন্তু আপনি চাইলে বাস্তবেও এমন দৃষ্টান্ত দেখতে পাবেন। বেশী দূরেও নয়, এই ভারতেরই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে। শুধু পার্থক্য হল, এখানে স্বামী স্ত্রী’কে তার প্রেমিকের হাতে তুলে দিতে লন্ডন পর্যন্ত যাননি, বরং স্ত্রী’র প্রেমিকের কাছ থেকে নিয়েছেন ৭১টি ভেড়া।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের গোরক্ষপুরের চারপানি গ্রামের কথা। নিজের শ্বশুরবাড়ি এলাকারই উমেশ নামক এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বিবাহিত সীমা পাল। তার স্বামীর নাম রাজেশ।
দীর্ঘদিন প্রেম চলার পর অবশেষে উমেশ এর সাথে পালিয়ে যায় সীমা। এরপর উমেশের সাথেই তার বাড়িতে থাকতে শুরু করে সীমা। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গোটা গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। রাজেশ এবং সীমার শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকেরা ঘটনার সুবিচার চেয়ে পঞ্চায়েত অভিযোগ জানান। রীতিমতো সালিশি সভারও আয়োজন করা হয়।
সমস্ত ঘটনা শোনার পর পঞ্চায়েত তাদের সিদ্ধান্ত জানায়। কিন্তু পঞ্চায়েতের এমন সমাধান শুনে অবাক হয়ে যায় গোটা গ্রাম। রাজেশ এবং উমেশ এর সাথে আলোচনা করে তারা বলে যে, সীমা এখন থেকে উমেশ এর সাথেই সসম্মানে থাকতে পারবে। কিন্তু তার পরিবর্তে শর্ত দেওয়া হয়, রাজেশের হাতে ৭১টি ভেড়া তুলে দেবে উমেশ। তারা দুজনেই এককথায় মেনে নেয় পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত, পাশাপাশি খুশী হয়েছে সীমা’ও।
উমেশের কাছে মোট ১৪২টি ভেড়া রয়েছে। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার অর্ধেক অর্থাৎ ৭১টি ভেড়া সে রাজেশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু এর ফলে মোটেই খুশী হননি উমেশের বাবা। রাজেশের বিরুদ্ধে ভেড়া চুরির অভিযোগ জানিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তিনি বলেন, “ছেলে কার সঙ্গে থাকবে সেটা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। শুধু ভেড়াগুলো ফেরত চাই।”
পরিবর্তে রাজেশ জবাব দেয়, “ভেড়া তো আমি চুরি করিনি! আমার স্ত্রীকে দিয়েছি, পরিবর্তে ভেড়া পেয়েছি।”