চোরাচালান জগতে মাদকদ্রব্য পাচার একটা বিশাল লাভজনক ব্যবসা । প্রশাসন যতই নজরদারি চালাক না কেন, কোন ভাবেই এই ব্যবসা বন্ধ করা যায় না । আইন যত কঠিন হোক না কেন এবং পাহারা যতই আঁটসাঁট হোক না কেন, তার মাঝেই মাদকদ্রব্য চোরাচালান চলতে থাকে ।
অনেক দিন ধরে পুলিশের কাছে বেশ কিছু সূত্র আসছিল যে আটারি সীমান্ত থেকে মাদক পাচার হচ্ছে । কিন্তু নিরেট প্রমাণ ছাড়া প্রশাসন কিছুই করতে পারছিল না । এই মাদক পাচার কারীদের সাথে এবং মাদকের সাথে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে এটা নিশ্চিত হলেও কোন সরাসরি প্রমাণ প্রশাসনের হাতে আসেনি ।
কিন্তু এবারে ফল মিলল । হাতেনাতে ধরা পরল হেরোইনসহ প্রচুর পরিমাণে মাদকদ্রব্য । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত শনিবার রাত্রে আটারি সীমান্তে বেশ কয়েকটি লরি আটকায় শুল্ক দপ্তর । সার্চ করে ৫৩২ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয় । যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ২৭০০ কোটি টাকা ।
সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এত বড় সাফল্য শুল্ক দফতর যে পায়নি সেটা এক কথায় বলা যেতে পারে । শুল্ক দফতরের এক অফিসার জানিয়েছেন নুনের চালান ছিল লরিগুলিতে । কিন্তু তল্লাশি করে সেখান ৬০০-র বেশি ব্যাগ পাওয়া যায় । ওই ব্যাগগুলি থেকেই প্রায় ৫৩২ কেজি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় । শুল্ক দফতরের অফিসাররা মাদকদ্রব্য গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে ।
এখন আটককৃত ট্রাক গুলির ড্রাইভারদের জোরকদমে জেরা চলছে । পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত এখনো অধরা থাকলেও ড্রাইভার দের জেরা করে তাদের হদিশ পাওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা চলছে । উল্লেখ্য পুলওয়ামা ঘটনার পর ভারতের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক একটা তিক্ততার পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে । পাকিস্তানের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যে লাগাম টানলেও চোরাচালানি বা চোরাপথে নিষিদ্ধ মাদক পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচার বন্ধ করা যায়নি কোনোভাবেই সেটা প্রমাণ হল ।