পুলওয়ামা হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাত অব্যহত। সংবাদ সংস্থা A N I সুত্রে খবর। গতকাল সোমবার রাত তিনটে’র পর ভারতীয় বায়ুসেনা অত্যাধুনিক উপায়ে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক জঙ্গিঘাঁটি গুলিতে আক্রমণ চালায়। এই অভিযানে ১২টি “মিরাজ ২০০০” যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করা হয়। “মিরাজ ২০০০” এর লেজার সিস্টেমের সাহায্যে পাক জঙ্গিঘাঁটি গুলি লক্ষ্য করে প্রায় ১০০০ কে.জি. বোমা বর্ষণ করা করা হয়।
সুত্রের খবরানুযায়ী, এই হামলা’টি ছিলো সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত। সোমবার ভারতের বালাকোট সেক্টর থেকে ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি পাক দখলীকৃত কাশ্মীরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢোকে। বালাকোট, চাকোটি এবং মুজফ্রাবাদে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিল ‘জইশ-ই-মহম্মদ’, ‘হিজবুল মুজাহিদিন’ এবং ‘লস্কর-ই-তৈবা’ র জঙ্গি ঘাঁটি। ‘জইশ-ই-মহম্মদ’ এর তিন’টি লঞ্চপ্যাড উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয় জইশ এর কন্ট্রোলরুম “আলফা-৩”।
উল্লেখ্য পাক অধিকৃত ভূ-খণ্ডে প্রায় ২১ মিনিট ধরে ভারতীয় বায়ুসেনা’র এই আক্রমণ চলে। ভারতীয় সেনাবাহিনী’র সুত্র থেকে জানা গেছে, রাত ৩টে ৩০ মিনিট থেকে ৩টে ৫১ মিনিট পর্যন্ত এই আক্রমণ চলে।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’কে এই সেনা অভিযানের সবিস্তার রিপোর্ট দিয়েছেন। এই সকল অভিযানের পর ভারতীয় বায়ুসেনা’কে অভিনন্দন জানিয়ে রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন,
🇮🇳 I salute the pilots of the IAF. 🇮🇳
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 26, 2019
ভারতের এই আক্রমণের পর মুখ খুলেছেন পাক সেনাবাহিনী’র মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তার দাবী, পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ফিরে আসে। ভারতীয় সেনা অবশ্য তার বক্তব্য’কে কোনও পাত্তা দেয়নি। এই ঘটনা’র পর আন্তর্জাতিক সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।