বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ডয়েচে ভেলো’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, “বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভারতের জমি চেয়ে প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ভারতের কাছ থেকে অফিসিয়াল প্রস্তাব পাওয়ার পর সিভিল এভিয়শনকে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে, তারা কাজও শুরু করেছে, এদের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “তবে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে এ বিষয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে দুইজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, ভারতের ওই বিমানবন্দরে যদি উভয় দেশের ইমিগ্রেশন চালু হয় তবে প্রস্তাবটি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।“
প্রসঙ্গত, আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করার জন্য ভারত জমি চেয়ে বাংলাদেশের কাছে মৌখিক প্রস্তাব রেখেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সমালোচনাও করেন কেউ কেউ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের ওই এয়ারপোর্টে (আগরতলা বিমানবন্দর) নিরাপদে প্লেন অবতরণে ক্যাট আই লাইট স্থাপেনর জন্য (জমি চেয়ে) তারা অনুরোধপত্র দিয়েছে, আমরা সিভিল এভিয়শনকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য বলেছি এবং তাদের কারিগরি কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে। সিভিল এভিয়েশন বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আবার আলোচনা করব, এরপর আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে।’
ভারতের জমি চাওয়ার ভিত্তি নিয়ে আসলে পরিস্কার নয়। লিজ, সত্বত্যাগ করে নাকি যৌথ মালিকানায় এ বিমানবন্দর হবে এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নাই।
বাংলাদেশে এভিয়েশন নিয়ে কাজ করছে ট্রিউন প্রাইভেট লিমিলেট। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘কিসের ভিত্তিতে ভারত জমি চায়? লিজ, সত্বত্যাগ করে, নাকি যৌথ মালিকানায়- তা আমরা এখনও জানি না।’ যৌথ মালিকানাধীনে হলে সেটা হতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কনসিডার করা যেতে পারে। তবে স্বার্বভৌমত্বটা নিশ্চিত করতে হবে। লিজ হলে সেটার একটা নীতি থাকবে, বাংলাদেশও বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে।