বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ভারত পেয়াজের বাজারে স্বস্তি আনার জন্য আমদানি করছে আর বাংলাদেশ? ভারতের নিজস্ব উৎপাদন থেকে দেশের চাহিদা পূরণ করে পেয়াজ রপ্তানি করে থাকে। পেয়াজ রপ্তানির তালিকায় ভারত রয়েছে। সেই ভারতে গত বছর বন্যার কারনে পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পায়। ভারত তার বাজার নিয়ন্ত্রন করার স্বার্থে পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। যার ফলে ভারতের পেয়াজের বাজারের অন্যতম ক্রেতা বাংলাদেশেও পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি যখন লাগামহীন বল্গা ঘোড়ার মত ছুটতে থাকে তখন বাংলাদেশ বাজার নিয়ন্ত্রন সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিলেও সকল ব্যবস্থা হার মানে। বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে বাংলাদেশে ৪০ টাকার পেয়াজের বাজার ২০০ টাকায় পৌছায়। ভারতেও লাগামহীন ভাবে পেয়াজের দাম বেড়ে ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দাড়িয়েছে। মুখরোচক খাবার থেকে শুরু করে সর্বত্রই পেয়াজের হাহাকারে বাংলাদেশের বাজার প্রায় মশলাই অনিয়ন্ত্রত হয়ে পড়ে। পেয়াজের সাথে রসুন, এমনকি সাধারণ রটনা থেকে লবনের মূল্য বৃদ্ধি পায়। শীলকাল এলেও শীতকালীন সবজি যেন অধরোয়াই থেকে যাচ্ছে।
ভারতের রাজ্য সরকার আর কেন্দ্র সরকারের টানা পোড়নে পেয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয়। ভারত সরকার পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রন করার জন্য ব্যবসায়ীদের ৫৫ টাকা কেজিতে পেয়াজ বিক্রয়ের নির্দেশ দেয়। পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রন করার জন্য ভারত সরকার পেয়াজ মিশর থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই একই পথে বাংলাদেশ হেটেও পেয়াজের বাজার সেই উর্ধ্বগতিতে থেকে গেছে।
বাংলাদেশ সরকার পেয়াজের মূল্য ধরা ছোয়ায় রাখার জন্য টিসিবির মাধ্যমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ভারত সরকার যেখানে পেয়াজ রেশনের দোকানে বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আর বাংলাদেশে টিসিবির গাড়িতে। টিসিবির গাড়িতে পেয়াজ বিক্রয় হলে সেখানে রয়েছে ক্রেতাদের হতাশা। চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম তার সাথে নষ্ট পেয়াজ। আর ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়াতে হচ্ছে। টিসিবির গাড়ির থেকে বলা হচ্ছে পেয়াজ জাহাজে আসার সময় অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে। নতুন পেয়াজ চাষিরা কিছু কিছু বাজারে আসলেও এখনও পেয়াজ সাধারনের ধরা ছোয়ার বাইরে।