বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের এতটাই অবনতি ঘটেছে যে, কোনরকম ঘোষণা ছাড়াই মাঝেমধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
চলতি বছর ২০১৯ এর বিগত ৫ই আগস্ট তারিখে ভারত সরকার কতৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা দুটি খারিজ করার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যপক পরিমাণে অসন্তুষ্ট হতে দেখা যায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে। উল্লেখ্য, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যবর্তী একটি ঐতিহাসিক সমস্যা হল কাশ্মীর। একারণে পাকিস্তানের সাথে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই ভারত সরকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াই ক্ষুব্ধ পাকিস্তান।
একারণে বর্তমানে সীমান্তবর্তি কাশ্মীর উপত্যকার শান্তি বিঘ্নিতকরণে পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই বেশ ক’বার নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিবর্ষণ হয়ে গেছে দুই দেশের মধ্যে। কোনরকম আগাম বার্তা ছাড়াই যেকোনও মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভারত-পাক সীমান্ত, এরই মধ্যে সীমান্তে যুদ্ধসেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। এমনকি এই উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর নতুন একটি শাখাও খোলা হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর।
সংবাদ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি বছর ২০১৯ এর শেষদিকে সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড ব্যাটল গ্রুপসের (IBG) যোদ্ধাদের মোতায়েন করবে ভারত। সম্প্রতি ২শরা সেপ্টেম্বর, সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে IBG গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এপ্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতের হিমাচল প্রদেশের ক্যান্টনমেন্ট শহর ইয়োলে নবম কর্পস পুনর্গঠন এবং পশ্চিমী সীমান্তের জন্য IBG গঠন করবে সেনাবাহিনী। হরিয়ানার চান্দি মন্দির ভিত্তিক পশ্চিমী সেনা কমান্ডের অংশ হল নবম কর্পস, যেটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সবচেয়ে তরুণ যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত। উল্লেখ্য, বিগত ২০০৯ সালে সরকারের কাছে এটি পুনর্গঠনের দাবি উঠেছিল।
বৃহত্তম এই সেনা কর্পসের প্রধান হবেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, এই সকল সেনা সদস্যরা জম্মু-কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রহরায় নিয়োজিত থাকবেন। তাদেরকে একত্রে সংকল্পিত যোদ্ধা ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা হবে।