বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ মার্কিন হামলায় মৃত্যু হয়েছে জেনারেল কাসেম সুলেমানির । তারপর গত মঙ্গলবার এবং বুধবার গভীর রাতে ইরান কঠোর প্রত্যাঘাত হেনেছে আমেরিকার উপর । ইরান ও আমেরিকার এই উত্তেজনার আঁচ অন্যান্য দেশের মত ভারতেও এসে পড়েছে । আগাম সতর্ক হিসাবে দু’তরফে যুদ্ধ পরিস্থিতি আঁচ করে কোমর বাঁধল ভারতীয় নৌসেনা। ওমান ও পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় শক্তিশালী আইএনএস ক্রিকাণ্ড যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করল ভারত। নজরদারি চলবে আকাশপথেও।
আগামীতে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্ব কতদূর যেতে পারে তাই নিয়ে শঙ্কিত গোটা বিশ্ব । ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির উপর । উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে ভারতে বছরে চার হাজার কোটি ডলার বিদেশি মুদ্রা আসে যা দেশের মোট বিদেশি মুদ্রা আমদানির অর্ধেকেরও বেশি। ওমান ও পারস্য উপসাগরের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্রাকার হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রেও ভারতের যথেষ্ট নির্ভরতা রয়েছে। অশান্তি বাড়লে এই প্রণানী বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করছে ভারত।
আমেরিকার উপর প্রত্যাঘাত হানতে ইতি মধ্যে ইরান দু-দুবার হামলা চালিয়েছে । দুই দেশের মধ্যে বিবাদমান সম্পর্কের জেরে বাড়তি নিরাপত্তার খাতিরে গত বছর ওমান উপসাগরীয় এলাকায় আইএনএস চেন্নাই ও আইএনএস সুনয়না নামে দু’টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল ভারতীয় নৌসেনা। এবার আরও সতর্ক পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । এখনকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ৪০০০ টন ওজনের ক্ষেপণাস্ত্রবাহী আইএনএস ত্রিকাণ্ডকেই উপসাগরীয় এলাকায় বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় নৌসেনা।
উল্লেখ্য পারস্য উপসাগর দিয়ে দিনে মোটামুটি পাঁচ থেকে আটটি অশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার যাতায়াত করে ভারতের। ট্যাঙ্কারে কপ্টার-ডেক থাকলে, প্রয়োজনে যাতে সেখানে নৌবাহিনীর কপ্টার নামানো যায়, তারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম তলওয়ার-ক্লাস ফ্রিগেট যুদ্ধজাহাজ আইএনএস ত্রিকাণ্ড। রাশিয়ার বানানো এই যুদ্ধজাহাজ ২০১৩ সালে ভারতের নৌসেনার হাতে আসে। উপসাগরীয় এলাকার আকাশেও নজরদারি চালাবে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার জন্য সর্বাধুনিক সি-১৭ গ্লোবমাস্টার-৩ এয়ারক্রাফ্টকে উপসাগরীয় এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।