নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে বেশ বড় বড় ভূমিকা গ্রহণ করে লরি -ট্রাক । ট্রাক ধর্মঘট শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য । যার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঠিকমত সরবরাহ হচ্ছে না । এরকম অবস্থা চললে দু’একদিনের মধ্যেই বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হবে এ কথা স্পষ্টভাবে বলা যেতে পারে ।
বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাক মালিক এবং চালকেরা অভিযোগ করে আসছিল রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের বেআইনি চাঁদা তোলা এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে । পুলিশি জুলুম সহ ছয় দফা দাবীতে ফেডারেশন অফ বেঙ্গল ট্রাকওর্নাস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা বনধের জেরে গাজল-হিলি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েক’শো পণ্য বোঝাই ট্রাক। ধর্মঘটিরা রাস্তায় বিভিন্ন এলাকায় রীতিমত পিকেটিং করে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। ধর্মঘটের ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক গুলির চালক খালাসীরা। কবে নাগাদ ধর্মঘট উঠবে সে নিয়েই চিন্তিত তারা।
শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাথে প্রচুর পরিমাণে পণ্য আদান-প্রদানে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে অসংখ্য ট্রাক অনির্দিষ্টকাল ট্রাক ধর্মঘটের জেরে সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে হাতে গোনা কিছু ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জিত মজুমদার জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকে অন্যান্য কোন পণ্য বাংলাদেশে রফতানি হয়নি। শুধু মাত্র আগে থেকে বোঝাই করা পাথরের ট্রাকই এদিন বাংলাদেশে রফতানি হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন রফতানিকারকদের পাশাপাশি বানিজ্যের সঙ্গে জড়িতরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে ট্রাক ধর্মঘটের প্রভাবে রফতানি বানিজ্য বন্ধ থাকায় বৈদেশিক মুদ্রারও ক্ষতি হচ্ছে।