পশ্চিমবঙ্গের ফেডারেশন অফ ওয়েসট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটস অনির্দিষ্ট কালের জন্য ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেন। এ ধর্মঘটে আজ সোমবার থেকে পন্যবাহী সকল ধরনের ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৭ লক্ষাধিক ট্রাক রয়েছে। যার সাথে প্রায় এক কোটি মানুষের জীবিকার সম্পর্ক।
ট্রাক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বোসের অভিযোগ, ট্রাকের উপর পুলিশের ও ডাক বাবুদের জুলুম দিন দিন বাড়ছে। পুলিশের চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে কেস দিয়ে জরিমানা আদায় করছে। এছাড়া নো এন্ট্রির নামে চলে পুলিশের অত্যাচার। এদের পাশাপাশি সেচ দফতর ও বি. এল. আরও – র জুলুম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরিবহন টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে ঠিকই কিন্তু কোনও কাজ এখনো করেনি।
ফেডারেশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রবীর চট্টোপাধ্যায় জানান, ৬ দফা দাবি নিয়ে এর আগে আমরা বহুবার পরিবহনমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি৷ এমনকি রাজ্যপালকেও জানিয়েছি কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি৷
ফেডারেশন অফ ওয়েসট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটসের ছয় দফা দাবিতে (১) অবিলম্বে ভারত সরকারের মোটর ভেহিকলস এর নতুন অ্যাক্সেল লোড করতে হবে৷ (২) পুলিশি অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে৷ বিশেষ করে গ্রীন পুলিশ, ডাক বাবু, সিভিক পুলিশ,ও থানাগুলোকে৷ (৩) ২০১৯ এর বাজেট অধিবেশনে ভারত সরকারের পেট্রোল ও ডিজেলের অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করে জি.এস.টি চালু করতে হবে৷ (৪) লোডিং পয়েন্ট থেকে ওভারলোড বন্ধ করতে হবে৷ (৫) কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিবছর থার্ড পার্টি ইনসুরেন্স প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করা বন্ধ করতে হবে৷ (৬) আর.টি.ও পুলিশি ঝামেলা ও টাকা তোলা বন্ধ করতে হবে৷
পন্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটের ফলে বাড়তে পারে খাদ্যদ্রব্যের নাম। বিশেষ করে পেঁয়াজ, মাছ, ডিম, কাঁচা সবজি ও অন্যান্য জিনিস। যে সমস্ত জিনিসপত্র পন্যবাহী ট্রাকে করে রপ্তানি হতো, সে সব জিনিসপত্রেরও দাম বেড়ে যেতে পারে।