কঠিন দমন নীতি প্রয়োগ করার জন্য দুর্নাম রয়েছে অমিত শাহের । গুজরাটে অমিত শাহ যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে কঠিন দমননীতি চালু করার জন্য । এমন কি তৎকালীন সরকারের পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ, পুলিশি অত্যাচার প্রভৃতির অভিযোগ জমা পড়ে । উপরন্তু দেখা গেছে মামলার কারণে গুজরাটের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গুজরাটে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে গেছিল ।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সামলানোর দায়িত্ব পড়েছে অমিত শাহের হাতে । বিশ্লেষকদের ধারণা, অমিত শাহ যেভাবে কাশ্মীরে বিভিন্ন কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন, তাতে পুরনো দিনের গুজরাটের দায়িত্বে থাকা অমিত শাহের দমন নীতির প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ।
ইউএপি আইনের 4 নম্বর ধারায় এ এন আই কে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা কোন ব্যক্তিকে যদি সন্দেহ হয়, তাহলে তাকে জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করতে পারবে । এর আগে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা কোন গোষ্ঠী বা সংগঠন কে সন্ত্রাসবাদি বা জঙ্গী হিসেবে ঘোষণা করতে পারত । এই নতুন আইনে তারা তাদের ক্ষমতা বলে সন্দেহবশত যেকোন কাউকে জঙ্গী হিসেবে ঘোষণা করতে পারে এবং তার বিচার করতে পারে ।
বিরোধী দল গুলির আশঙ্কা, যদি রাষ্ট্রপ্রধান মনে করে কেউ সরকার বিরোধী মূলক কাজ করছেন বা সরকার বিরোধী বক্তব্য রেখে মুখ খুলছেন তাহলে তাকেও সন্ত্রাসবাদি তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করা যাবে ।
এর পাশাপাশি সাইবার অপরাধের রমরমা এবং মানুষ পাচার করার কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য এন আই এ-র আইনে আরো কয়েকটা নতুন ধারার প্রচলন হতে পারে । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে নতুন এই সংশোধনী বিল সম্পর্কে কোন কিছু না জানালেও, এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, নতুন আইন বলে এন আই এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে এই পরিবর্তনগুলি তারা করতে চলেছে ।