বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বগুড়ার শাহাজানপুরে কুচি কুচি করা টাকা নিয়ে সারা দেশে হাজারো প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক এর পক্ষ থেকে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া কার্যালয় থেকে জানানো হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এ নোটগুলো ধ্বংস করা হয়। বগুড়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা বলেন, ১ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাতিল নোট পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর ওপরের, অর্থাৎ ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট কুচি কুচি করে কেটে ফেলে দেওয়ার নিয়ম। জালশুকা এলাকায় পাওয়া টাকার কুচি বাংলাদেশ ব্যাংকের অচল ও বাতিল হিসেবে ফেলে দেওয়া টাকা।
বগুড়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা আরো জানান, বগুড়া কার্যালয়ে কুচি করা টাকার ১ হাজার ৮০০ বস্তা জমা হয়েছিল। গত ২২ আগস্ট সেখান থেকে ২৪০ বস্তা ফেলে দেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দেওয়া হয়। পরে পৌরসভা ট্রাকে সেগুলো সেখানে নিয়ে ফেলে। পরিবেশের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে টাকা পোড়ানো হয় না। এগুলো কোথাও ফেলে দেওয়াই নিয়ম।
প্রসঙ্গত গত ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় দুজন নারী ছেড়া টাকা সংগ্রহ করে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান। তারা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহারে জন্য নেন। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। জাতীয়ভাবে ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনায় দুপুরে ব্যাখ্যা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলছে, এগুলো কারও ফেলে দেওয়া টাকা নয়। বাতিল বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এগুলো ফেলে দিয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিতে কাজটি করা হলেও পৌরসভার বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন পরিদর্শকের গাফিলতি রয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয় পোড়ানে যাবে না বিধায় তারা এগুলো ফেলে দেন।