হিন্দু ধর্মীয় সব থেকে বড় উৎসব দূর্গাপূজা হলেও এখানে ছুটি নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ। সরকারি অফিস আদালতে ১ দিন ছুটি দেওয়া হয়। পাশাপাশি দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও আশ্বিনী পূর্ণিমা উপলক্ষে ছুটির তালিকায় ৫-১৭ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত ছুটি নির্ধারিত রয়েছে। দূর্গাপূজায় এখানে অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত তিন দিনের ছুটি ধরা হয়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত ভট্টাচার্য মনি বলেন, তার চাকরিকালের এটি প্রথম এমন ঘটনা। কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দুর্গাপূজার ছুটি ৩ দিনের পরিবর্তে ৭ দিন করার পুনর্নির্ধারণের দাবি জানান।
গত রবিবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনিবার্য কারণ বশত: ৩-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত নির্দেশক্রমে ছুটি প্রদান করা হলো। নেপ’র উপপরিচালক (মূল্যায়ন) এ কে এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ৩ অক্টোবরের ছুটি সুপারিনটেনডেন্ট এর হাতে সংরক্ষিত ছুটি হতে সমন্বয় করতে হবে।
প্রসঙ্গত স্বরুপ দাস এ বিষয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা আসন্ন দুর্গাপূজা হিন্দুদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দুর্গাপূজাই একমাত্র সার্বজনীন অনুষ্ঠান যেখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালন করেন। হিন্দুরা ধর্মীয় দিক থেকে এদেশের দ্বিতীয় সংখ্যগরিষ্ঠ জাতি। সুতরাং এই বৃহৎ অনুষ্ঠানটিতে কমপক্ষে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হোক।