বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে বড় বড় নেতাসহ অনেকেই ধরা পড়ছেন। এবার বিভিন্ন ভাবে বাচার চেষ্টা করলেও রেহাই পাচ্ছেন না গণপূর্তের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের উচ্চ পর্যায়ের সিন্ডিকেট। দুর্নীতি ও অনিয়মের স্বর্গরাজ্য বানানো সরকারের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নকারী এই সংস্থাটির টেন্ডার মাফিয়া পুলিশের হেফাজতে থাকা যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসে সরকার।
কমিশন বানিজ্যের টাকা পাওয়া কর্মকর্তাদের তল্লাশীতে নামে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। গণপূর্ত অধিদফতর গত বুধবারে সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান উৎপল কুমার দে’সহ ১১ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তাদের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সন্দেহের তালিকায় থাকা বিভিন্ন কর্মকর্তার নামের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। সম্প্রতি জি.কে শামীমের জবানবন্দিতে গণপূর্ত অধিদফতের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের নাম উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানা গণপূর্তের টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম গ্রেফতারের পর থেকে অচলাবস্থা চলছে। এখন এমনই অবস্থা বেশীরভাগ কর্মকর্তারা ফাইল স্বাক্ষর থেকে বিরত থাকছেন। এমনকি নিজের মুঠোফোন বন্ধ রাখছেন। দুদক থেকে এরই মধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। জানা যায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রতি টেন্ডারে ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়।