বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজাকারের তালিকায় রাজাকারের থেকে মুক্তিযোদ্ধাই বেশী। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় কয়েকদিন আগে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে প্রকৃত রাজাকারের নাম এর পরিবর্তে অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম চলে এসেছে। এ নিয়ে সরকারের শীর্ষস্থানীয় দুই মন্ত্রী দুই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন।
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা সহ বিশিষ্ট জনের নাম আসায় সবাই হতাশ হয়েছে। বরিশালে বাসদের নেতৃ মনীষা চক্রবর্ত্তীর বাবা অ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্ত্তী ও ঠাকুরমা উষা চক্রবর্ত্তীর নাম আসে। আস্তে আস্তে থলের বেড়াল আরো বেড়োতে থাকে। বরিশালের সুপরিচিত ভাষা সৈনিক মিহির লাল দত্তের নাম দেখে আবার চমক। মিহির লাল দত্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত হন। তিনি একাধারে সাংবাদিক, কবি, গীতিকার, ছোটগল্পকার। এই ভাষা সৈনিকের মেজ ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত তালিকায় যেন চমক শেষই হতে চাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নাম প্রকাশে দেখা দেয় ক্ষোভ। তিনি একজন ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। ৫৪ থেকে শুরু করে ৭১ পর্যন্ত সকল সংক্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। সর্বশেষ চমক দেখাল মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনাল বঙ্গবন্ধুর বেয়াই মরহুম আব্দুল হাই সেরনিয়াবাতের নামে। সর্বশেষ বলা যায় না আরো চমক থাকতে পারে। আব্দুল হাই সেরনিয়াবাত সম্পর্কে বরিশাল অঞ্চল সহ দেশবাসী জানে। বরিশালে রাজাকারের তালিকা পোড়ান সহ সুধীজনেরা প্রশ্ন করেছে মন্ত্রনালয়ের কোন কর্মকর্তা তালিকা প্রকাশের আগে কি একবার পড়ে দেখেছেন?