চলতি বছরে ভারতের সবচেয়ে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক অনুষ্ঠান ১৭তম লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেছে। গত ২৩শে উক্ত নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে এবং তাতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পুনরায় দিল্লী’র সিংহাসনে দখল করলেন ভারতীয় জনতা পার্টি’র দলনেতা নরেন্দ্র মোদী।
রাষ্ট্রপতি ভবনের বিবৃতি থেকে জানা গেছে যে আগামী ৩০শে মে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা’য় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী’কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। উক্ত এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত থাকছে BIMSTEC(বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ৭টি দেশ) গোষ্ঠীভুক্ত দেশ’গুলি। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার। উল্লেখ্য, দেশের বাইরে পর্যটনরত অবস্থায় থাকার কারণে এবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারছেননা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিগত ২০১৪ সালে ভারতের ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী’র প্রধানমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তবে তারপর ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর পুনরায় ভারতের সাথে বাদ-বিবাদে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান। উরি সেনা ক্যাম্প হামলা এবং তার পরপরই পুলওয়ামা হামলা’র পর পাকিস্তানের সাথে তিক্ততার সম্পর্ক বেড়ে যায় ভারতের, যদিও অবশেষে ভারতবর্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল পাকিস্তান, তবুও রোষের আগুন এখনও দুই দেশের মধ্যেই বর্তমান।
উক্ত ১৭তম নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী পুনরায় জয়ী হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে তিক্ততার সম্পর্ক মেটাতে এবং দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, কিন্তু তাতে তেমন কিছু লাভ হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ৩০শে মে প্রধানমন্ত্রী পদে মোদী’র শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেননা পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পরিবর্তে তাঁকে সন্ত্রাসমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বারংবার। সুতরাং এর থেকে স্পষ্ট বলা যায় যে পাকিস্তানের সাথে আর কোনওরকম আপোষ করতে চায়না ভারতবর্ষ।