বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ভারত সরকার কতৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ দুটি বাতিল ঘোষণা করায় বর্তমানে জম্মু এবং কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ভারত সরকার কতৃক গৃহীত এহেন সিদ্ধান্তে খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। একারণে কাশ্মীরে নির্যাতন এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারত সরকারের নামে জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে নালিশ জানিয়েছিলো পাকিস্তান। কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিয়ো গুয়েতরেস কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যস্থতা না করার ঘোষণা করেন।
বর্তমানে ভারত সরকারের কাছে সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ হলো কাশ্মীরের শান্তি বজিয়ে রাখা। একারণে কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করেছে ভারত সরকার। সম্প্রতি সম্পন্ন হয়ে গেলো পৃথিবীজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান ‘ঈদ-উল-আজহার’। উক্ত ঈদের অনুষ্ঠানে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে, এই ভয়ে গোটা কাশ্মীরে কড়া নির্দেশনামা জারি কড়া হয়েছিলো। এইদিন একসাথে কাশ্মীরের বাসিন্দা’দেরকে কোথাও কোনও বড়ো জমায়েত গড়ে তুলতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কাশ্মীরের সাথে যোগাযোগ করারও সমস্ত পথ বর্তমানে বন্ধ।
কাশ্মীরে ভারত সরকার কড়া নির্দেশিকা জারি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। একারণে সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক গণমাধ্যমে সমস্ত বিশ্বের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন যে, ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরে চলমান সঙ্কট নিয়ে বিশ্ববাসী নীরব কেন?
ইমরান খান আরও জানান, “বিশ্ববাসী কী নীরব থেকে কাশ্মীরে স্রেব্রেনিকার মতো আরেকটি মুসলিম নিধন দেখতে চায়? আমি আন্তর্জাতিক মহলকে হুঁশিয়ার করতে চাই, যদি তাই হয়, তাহলে মুসলিম বিশ্বে তা তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। আর এতে করে মৌলবাদ ও সহিংসতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।” এপ্রসঙ্গে তিনি মোদী সরকার কতৃক গুজরাটে জাতিগতভাবে মুসলিম নিধনের উদাহরণ দিলেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একটি বৈঠকে ভারতের স্বাধীনতা দিবস (১৫ আগস্ট)-কে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই হিসাবে আজ (বৃহস্পতিবার) গোটা কাশ্মীর জুড়ে ‘কালা দিবস’ পালিত হচ্ছে।