বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: বর্তমানে ভারতবর্ষের সকল রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এর অন্যতম কারণ হল, চলতি বছর সম্পন্ন হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় দিল্লীর সিংহাসনে নরেন্দ্র মোদীর জয়লাভ।
ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয়বার জয়লাভ করার পর বহু সাধারণ মানুষের মধ্যে অনালাইন বিজেপি সদস্যপদ গ্রহণ করবার হিড়িক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসারাম এবং রাম রহিম সিং-এর অনলাইন বিজেপি সদস্যপদ গ্রহণ করা নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণ উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি গোটা ভারতবর্ষকে অবাক করে দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখালেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টি-র সদস্য হিসাবে ইমরান খানের ডিজিটাল পরিচয়পত্রের ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি আহমেদাবাদের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কমলেশ পটেল এর কাছেও পৌঁছে যায় সেই ছবি। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান’কে বিজেপি সদস্যপদ গ্রহণ করতে দেখে পুরোপুরি তাজ্জব বনে যান তিনি। তাই বেশী দেরি না করে পুলিশের কাছে এফ আই আর দায়ের করেন কমলেশ পটেল। সদস্যপদ গ্রহণ করা ওই ব্যক্তি বাস্তবে ইমরান খান নিজেই কিনা, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করাতে বেরিয়ে এলো অবাক করা তথ্য।
পুলিশি সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মোটেই বিজেপির অনলাইন সদস্যপদের জন্য আবেদন করেনি। ওই ব্যক্তি আসলে আহমেদাবাদের গুলাম ফরিদ শেখ নামক এক স্থানীয় বাসিন্দা, যিনি ইমরান খানের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এছাড়া এও জানা গেছে যে, ইতিপূর্বে প্রচারিত হওয়া আসারাম এবং রাম রহিম সিং-এর পরিচয়পত্র’গুলিও ওই ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন। গত শুক্রবার ফরিদ’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, ফরিদ শেখ নিজেও বিজেপির অনালাইন সদস্যপদ গ্রহণ করছেন। আর তারপরে তিনি তার মোবাইল থেকেই আসারাম, রাম রহিম এবং ইমরান খান’কে সদস্য হিসাবে অনালাইন রেজিস্টার করে দেন। কিন্তু ব্যক্তির এরুপ কাজ করবার কারণ কী? নেহাতই মজা, নাকি এর পিছনে বড় কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, বর্তমানে সেটাই খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। অবশ্য আহমেদাবাদের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক কমলেশ পটেল দাবি করছেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টি’র বদনাম করার জন্যই এই ধরনের কাজ করেছেন ফরিদ।