বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গত ৫ই আগস্ট তারিখে ভারত সরকার কতৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা দুটি বাতিল করার কথা ঘোষণা করার পর থেকেই প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান। যেহেতু কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী একটি ঐতিহাসিক সমস্যা, সেকারণে তাদের সাথে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই ভারত সরকার এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের প্রতিবাদের উত্তরে ভারত সরকারের তরফ থেকে ভারতের অন্তর্বর্তী বিষয়ে পাকিস্তানকে নাক গলাতে বারণ করা হয়। এরপর পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে চিন’ও ভারতকে সতর্ক করে, কিন্তু তাতেও কান দেয়নি ভারত সরকার।
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নির্যাতন এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে অভিযোগ জানায় পাকিস্তান। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনও ফল হয়নি, ভারত-পাকিস্তান মধ্যবর্তী সমস্যায় মধ্যস্থতা না করার সিদ্ধান্ত জানায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুয়েতরেস। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পাকিস্তান। পরিশেষে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আন্তর্জাতিক মহল’কে সরাসরি সন্ত্রাসের হুঁশিয়ারি দেন।
এরপর পাকিস্তানের সাথে ভারতের উত্তেজনা বেড়ে যায়। চলতি মাসেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বেশ কয়েকবার গোলাগুলি চলেছে, তাতে দুই দেশেরই কিছু সৈন্য মারা যায়। পাকিস্তানের বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন ভারত থেকে হিন্দুত্ব বিলুপ্ত করার জন্য জেহাদের ডাক দেয়; এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত জানান যে শত্রুর মোকাবিলা করতে সবরকম ভাবে তৈরি ভারতীয় সেনা, তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই।
ভারত সরকার যখন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুনরায় শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, সেই মুহূর্তে কাশ্মীরবাসী’কে খুঁচিয়ে দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সবরকম ভাবে কাশ্মীরী’দের পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বলা হয়, কাশ্মীরি জনগণকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এই নিয়ে সম্প্রতি পাক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল জাভেদ কামার বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মূলত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়েই তাদের বৈঠক। গত ২২শে আগস্ট, বৃহস্পতিবার ইমরান খান এবং জাভেদ কামার বাজওয়ার বৈঠক হয়। তবে বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, পুনরায় তিন বছরের জন্য জেনারেল বাজওয়াকে নিয়োগের পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে এটি প্রথম বৈঠক।