অপরিকল্পিতভাবে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রতিনিয়ত ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় নষ্ট করে দিচ্ছে আমাদের ম্যানগ্রোভ অরণ্য।
কয়েক বছর আগে হয়ে যাওয়া আইলা এবং তার নির্মম ক্ষয়ক্ষতি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। দিনের পর দিন ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে সরকারি খাস জমির চরিত্র বদলে অবৈধ ভেরী নির্মাণ হচ্ছে অহরহ।
ম্যানগ্রোভ অরণ্য ঝড়, ভূমিক্ষয় প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বনভূমি কে রক্ষা করে। সরকার এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেও সেটা যে আদৌ কার্যকর হয়নি তা বোঝা যায় সাগরদ্বীপে চেমাগুড়ি মৌজার প্রায় ৪০ হেক্টর খাস জমিকে ভেরী’তে পরিণত করে মাছ চাষ করা দেখে।
সরকার বা প্রশাসন বলছে ঠিকই যে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু তাতে কি আমরা সেই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ফেরত পাব?
সাগরদ্বীপে ম্যানগ্রোভ কাটার প্রবণতা যে থেমে নেই সেটা ওখানকার বিভিন্ন এলাকায় ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ে। সেখানে গেলে কোথাও বিদ্যুৎ স্তম্ভের পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘মেশিনের সাহায্যে গাছ কাটা হয়’ , কোথাও আবার লেখা আছে ‘এখানে গাছ কাটার লোক পাওয়া যায়’।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে সরকারের আইন দ্বারা কোনভাবেই বাদা বনকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না। অবৈধ ভেরী তৈরি করে মাছ চাষ বন্ধ করা যাচ্ছে না। অনতিবিলম্বে সরকার যদি কড়া ব্যবস্থা না নেয় তাহলে হয়তো পরবর্তী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তছনছ হয়ে যাবে সেখানকার জনজীবন।