বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ যতদিন যাচ্ছে মানুষ ঘরে বসেই সমস্ত কাজ অনলাইনে সারতে চাইছে । ব্যাঙ্কের কাজ, কিম্বা অনলাইনে খাবার বুক করা এখন হাতের মুঠোফোন থেকেই নিমিষে করা যাচ্ছে । ফলে জতদিন যাচ্ছে ততই Swiggy, Zomato ইত্যাদির মত খাবার ডেলিভারি অ্যাপ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । কিন্তু বেশ কয়েকটি ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ হয়রানির শিকারও হচ্ছে এই অ্যাপ নির্ভরতার জন্য ।
বাড়ির লোক বাইরে গেছে, বাড়িতে একা রয়েছেন । হাত পুড়িয়ে রান্না করবেন ? না হাতের নাগালেই তো রয়েছে অনলাইন খাবার ডেলিভারি অ্যাপ, চিন্তা কি ! পছন্দের রেস্টূরেন্টের পছন্দের খাবার অর্ডার করে দিন, কিছুক্ষনের মধ্যেই ডেলিভারি ম্যান আপনার পছন্দের খাবার নিয়ে দেখবেন ডোরবেল বাজাচ্ছে । খুবই মজা, তাই না ! কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা থেকে জানা যাচ্ছে, শহরে বেশ কিছু ভুয়ো দোকান বা রেস্তরাঁ কিম্বা বন্ধ হয়ে গেছে এই ধরনের নামও অ্যাপের তালিকায় থেকে গেছে । ফলে অর্ডার দেবার পর সেই খাবার না পেয়ে ক্ষিদে পেটে হয়রানির শিকার হওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না ।
মনে করুন আপনার বাড়িতে কয়েকজন গেস্ট এসেছেন । এবার আপনি বাজারে গিয়ে বাজার করে এনে রান্না করবেন এবং তারপর অতিথি আপ্যায়ন করবেন অথবা খাবার ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করবেন । সম্ভবত দ্বিতীয় অপশন আপনার বেশী পছন্দ হবে । এবার আপনি অর্ডার করলেন কিন্তু খাবারের অপেক্ষায় থাকার পর খাবার না এসে একটা ফোন এল । সেখানে বলা হল আপনি যে হোটেল বা রেস্তরাঁয় খাবার অর্ডার করেছেন সেটি বন্ধ থাকায় অর্ডারটি ক্যান্সেল করুন । এবার কি হবে আপনার মনের অবস্থা ? হ্যাঁ সম্প্রতি এমনই হয়েছে খাবার অর্ডার করার পর ।
Swiggy, Zomato-র মত জনপ্রিয় খাবার ডেলিভারি অ্যাপের নির্ভরতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরে । যদি রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে তাহলে কিভাবে ডেলিভারি বয় খাবার নির্দিষ্ট জায়গাতে পৌঁছে দেবে। আর এই নিয়ে রীতিমত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কিভাবে এই ধরণের ভুয়ো দোকানগুলি ব্যবসা করে চলেছে।
এমনিতেই এই মুহূর্তে খুব দ্রুত ব্যবসা করে চলেছে এই সকল অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ৷ সাধারণ মানুষের কাছে খুব দ্রুত নিজেদের একটা জায়গা বানিয়ে নিয়েছে। যার ফলে এখন রান্না করার থেকে হাতের কাছে এই অ্যাপে খাবার অর্ডার দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনেকে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে নতুন বছরে নিজেদের ব্যবসার প্রভাব আরও বিস্তার করবে এই ফুড ডেলিভারী অ্যাপগুলি। কিন্তু তার আগে এই ধরণের বিষয় সামনে আসাতে রীতিমত অস্বস্তিতে রয়েছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সুইগির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন তাদের এক বিশেষ দল রয়েছে যারা এই সকল বিষয়গুলি খেয়াল রাখেন। কোন রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা কাদের খাবারের গুণমান ঠিক নেই তা আলাদা লোকেরা পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়াও জানিয়েছেন কোন ক্রেতার থেকে কোন রকম অভিযোগ পেলেই তাঁরা দ্রুত সেই বিষয়টি দেখেন এবং তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই মুহূর্তে যে হারে ভুয়ো রেস্তোরার হার বেড়ে চলেছে তাতে ধীরে ধীরে প্রভাব পরতে চলেছে ক্রেতাদের মধ্যেও।