বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সামনেই পুরসভা ভোট । কিন্তু শিক্ষকদের একটা বড় অংশ পুরভোটে দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছু দাবী জানালেন । যেগুলির নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত ভোটের ডিউটি বা দায়িত্ব তারা নেবেন না বলে জানিয়েছেন । ঠিক ভোটের আগে শিক্ষকদের এহেন বেঁকে বসায় বিপাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ।
গত পঞ্চায়েত ভোটে ভোট কর্মীদের অবস্থা হয়েছিলে “ভিক্ষা চাই না, কুত্তা সামলা”র মত অবস্থা । কর্মীরা না পেরেছে দায়িত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে, না পেয়েছে ঠিক মত নিরাপত্তা । পঞ্চায়েত ভোটে গোটা বাংলা জুড়ে কী পরিমাণ হিংসার ঘটনা ঘটেছিল সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে শিক্ষকদের একটা বড় অংশ ভোটের দায়িত্ব নেবার আগে দাবী জানালেন, দায়িত্ব নিলে তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে এবং তা বিশ্বাসযোগ্য ও সন্তোষজনক হলে তবেই তাঁরা ভোটের দায়িত্ব নেবেন, নইলে নয়।
আজ বুধবার শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষা বন্ধু ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিরা লিখিতভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের দাবী এবং বক্তব্য জানিয়েছেন । এদিকে ভোট কর্মীদের পুরপুরি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যে কতখানি কঠিন, সেটি নির্বাচন কমিশনের অজানা নয় । এদিকে শিক্ষকদের একাংশ যদি ভোটের দায়িত্ব না নেন, তাহলে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে কমিশনকে ।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো পুরভোটেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভোটের দায়িত্ব পড়ে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশি করে ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়। কিন্তু ভোট দানের স্থানে বাস্তবে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাতে কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন থেকেই যায় । অন্য দিকে উৎকন্ঠায় থাকে তাঁদের পরিবারও। আবার পুরভোটে বা পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয় না। রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে । অনেক বুথে আবার পর্যাপ্ত পুলিশও থাকে না ।
অতীতের পঞ্চায়েত এবং পুরভোট লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, নির্বাচনী ভোটের আগের দিন বা ভোটের দিন হিংসার ঘটনা ঘটে । বুথে ভোট কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে গণনার দিন গণনাকেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে পড়া কিম্বা ফলাফল পছন্দ মতো না হলে ব্যালট জ্বালিয়ে দেওয়া বা ব্যালট বাক্স ধরে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ।